ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ডাব বিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার : স্ত্রী পলাতক

চকরিয়া প্রতিনিধি :: 

চকরিয়ায় চার সন্তানের জনক আবদুর রশিদ (৩২) নামের এক ডাব বিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত আবদুর রশিদ উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সাফারি পার্ক সংলগ্ন বাগান পাড়া এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ডুলাহাজারাস্থ বাগান পাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ নিহতের লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর পরই নিহত আবদুর রশিদের স্ত্রী এলাকা ছেড়ে পালাতক রয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত আবদুর রশিদ পেশায় একজন ডাব বিক্রেতা।সে এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে খুচরা ডাব ক্রয় করে ষ্টেশনে ষ্টশনে বসে বিক্রি করে টানাপোড়ন মধ্যে সংসার চালাতো।সংসার জীবনে তার দুটি স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। বিগত তিন মাস পূর্বে নিহত আবদুর রশিদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে সাফারি পার্ক সংলগ্ন বাগান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। দীর্ঘদিন ধরে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পিতার সাথে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে বিরোধ চলে।সম্প্রতি সময়ে ওই টাকার বিষয় নিয়ে তার শাশুড়ি তাদের ভাড়া বাসায় অবস্থান করে।নিহতের ঘটনার পূর্বের দিন রাতে তাদের মাধ্যে লেনদেন বিষয়ে তর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সকালে আবদুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শাশুড়ি। নিহতের ঘটনার দিন সকালে স্ত্রী, বাসায় বেড়াতে আসা শালী, শাশুড়ি বাসা থেকে চলে যায়। এক সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন আবদুর রশিদকে বাসা থেকে ডাকতে গেলে তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পাই বসতঘরের চালার বীমের সাথে তার ঝুলতবস্থায় মৃতদেহ। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চকরিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে।

চকরিয়া থানার এস আই মো: আতিক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের বসতঘরের বীমে ঝুলন্তবস্থা থেকে নিহত আবদুর রশিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।পরে লাশের প্রাথমিক সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।এ ঘটনায় তার স্ত্রী পালাতক রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,ডুলাহাজারা এলাকা থেকে পুলিশ আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রির্পোট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা। লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এ নিয়ে পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: