ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় জয়িতা পুরস্কার পেলেন পাঁচ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাঁচ ক্যাটাগরিতে এবারও দেওয়া হয়েছে জয়িতা পুরস্কার। জেলা ও উপজেলা কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত এই পাঁচ জয়িতা নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে এবারের জয়িতাদের এই সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।

‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’-২০২১ এর আলোকে জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচ নারীই বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন। ক্যাটাগরি অনুপাতে জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী শাহেদা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় চকরিয়ার প্রথম নারী উদ্যোক্তা ও মা বুটিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জারিয়াতুল মোস্তফা, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফলতায় দিলশাদ আনজুমান রুমা, সফল জননী নারী হিসেবে জাহেদা বেগম এবং নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় রনী সুলতানা।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাবিবা জাহান জানান, ইউনিয়ন ভিত্তিক চৌকিদার, দফাদার ও মাইক দ্বারা প্রচারণা এবং উপজেলা প্রশাসনের পেজ থেকে এসব ক্যাটাগরিতে এবার জয়িতা পুরস্কার দিতে আবেদনসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছিল। এর পর জমাকৃত আবেদন যাচাই করার জন্য উপজেলা কমিটির সভা হয়। সেই সভাতেই নির্দিষ্ট করে ইউএনও অনুমোদন করেন কারা পাঁচ ক্যাটাগরিতে জয়িতা পুরস্কার পাবেন। সেই মোতাবেক তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন জয়িতাদের হাতে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসি চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাবিবা জাহান, এনজিও সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নোমান।

ষাটোর্ধ নারী উদ্যোক্তা জারিয়াতুল মোস্তফা। সরকারি চাকরির পাশাপাশি চকরিয়াতেই প্রথম নারী উদ্যোক্তা তিনি। ‘মা বুটিকস’ নামে হস্তশিল্পের প্রতিষ্ঠান খুলে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত।

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার ক্যাটাগরিতে জয়িতা পুরস্কার পাওয়া জারিয়াতুল মোস্তফা বলেন, সময় পেলেই হস্তশিল্পের কাজে মনোনিবেশ ঘটাই। বয়স বাড়লেও হস্তশিল্পের কাজ নিয়ে পড়ে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম, এখনো করি। কারণ আমার দেখাদেখি এখানে নারী উদ্যোক্তার প্রসার হউক সবসময় সেই ভাবনা কাজ করে আমার মধ্যে। এবার জয়িতা পুরস্কারে আমাকে ভূষিত করায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, প্রতিটি নারী সংসারের সকল কাজ সামাল দেয়ার পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিণত হয়েছেন। নারীর অগ্রযাত্রার কারণেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। তাই বর্তমান সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সফল নারীদের জয়িতা পুরস্কার দিয়ে যাচ্ছেন। এবার চকরিয়ায় যারা জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।

পাঠকের মতামত: