নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী ৯নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে চোরের হাত থেকে ১২টি মহিষ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনতা। ২ জুন রাত সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনাটি ঘটে। উক্ত মহিষ গুলোর মালিক স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহিম ও চিংড়িঘের মালিক ভূট্টো। উদ্ধারকৃত মহিষ গুলোর অনুমানিক মূল্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। জনতার হাত থেকে চোরদের ছিনিয়ে নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মহিষ মালিক স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহিম জানায়, তার ও পাশ^তী চিংড়িঘের মালিক ভূট্টোর চিংড়ি ঘের থেকে চোরের দল ১২টি মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কোরালখালী ৯নং ওয়ার্ড এলাকা দিয়ে তারা গিয়ে দেখতে পায় কতিপয় স্থানীয় গরু চোর চৌধুরীর লোকজন মহিষ গুলো নিয়ে আসছে।
তিনি জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌছার আগে স্থানীয় লোকজন ওইসব চোরের দলকে ছিনতে পেয়ে তারা মহিষ গুলো আটক করে। এসময় ওই গরু-মহিষ চোরের মূল হুতা নবী হোছনের ভাগিনা মোরর্শেদ ওই চোরদেরকে জনতার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বলে দাবী করেন ঘের মালিক ভূট্টো। জনতার হাত থেকে চোরদের ছিনিয়ে নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তিনি আরো জানান, চোরের দল যদি আর ৫/১০ মিনিট সময় পেত তা হলে তাদের মহিষ গুলো মূল চোরের ডেরায় চলে যেত। এতে করে তারা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকার মহিষ হারাত। স্থানীয় লোকজন জানায়, এসব চোর দলের হাতে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও গরু-মহিষ চুরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। সুযোগ বুঝে তারা মানুষের বাড়ি, চিংড়িঘেরের খামারে থাকা মহিষ-ভেড়া-ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, চকরিয়া উপজেলার আশপাশ উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানের চিহ্নিত চোরের দল গরু-মহিষ চুরি অব্যহত রেখেছে। মানুষ এখন তাদের যান-মাল নিয়ে দূশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। যদি গরু-মহিষ চোরের মূল হুতাকে গ্রেফতার করা হয় উদ্ধার করা হবে অতীতের সকল ক-ুকর্ম ও তাদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র ও চুরি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি।
সুত্র জানায়, ওই গরু চোরের হুতা একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বাবা বলে জাহির করে মানুষকে ভয়ভীতি ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে গোপন আঁতাত থাকায় তার এসব অবৈধ কর্মকান্ড ধরাছোঁয়ার বাহিরিই থেকে যায়। ইতিমধ্যে একজন জনপ্রতিনিধিকে বাবা ডাকা ও মানুষকে হুমকি দেয়ার একটি ভয়েস রেকর্ডও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন ধরণের তৎপরতা নেই বললে চলে। গত কয়েকদিন আগে চোরের অন্যতম সদস্য রুবেল মহেশখালীতে গরু চুরি করতে গিয়ে জনতার গণপিঠনীতে ডান হাত ভেঙ্গে গুরুতর আহত হযেছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে প্রকৃত চোরের সর্দার ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চকরিযাবাসী ।
পাঠকের মতামত: