ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যার রহস্য উদঘাটন : গ্রেফতার-৩

এম. নুরুল আলম, চকরিয়া সদর ::
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনের সময় শাশুড় বাড়ী থেকে ভোর রাতে চাকুরীর বকেয়া টাকা আনার জন্য চট্রগ্রাম শহরে উদ্দেশ্য রওনা হয় লোকমান।

গত ১৩ এপ্রিল চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্হ নতুন মসজিদ নামক চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লাগোয়া পূর্ব পাশে চুরি ও গুলির আঘাতে লোকমানের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে মসজিদে আসা মুসল্লিরা। পরে থানা পুলিশ সকাল ৭টা ১৫মিনিটের সময় লাশটি উদ্ধার করে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।

পরে ১৪ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যার জন্য নিহতেরর ছোট ভাই সাঈদুল আকবর বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-১৪/২০২০ইং।

মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই সাঈদুল আকবর কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধ্ররুং ইউপির কালামারপাড়া গ্রামের মৃত মৌলভী আব্দুল মালেকের পুত্র। নিহত লোকমানের শাশুড়বাড়ী ডুলাহাজারা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালী গ্রামে। নিহত লোকমান ২৬মার্চ শাশুড় বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিলেন।

উক্ত মামলাটি চকরিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ এসআই আব্দুল বাতেনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে হাওলা করে। সাহসী ও নিষ্ঠাবান এসআই আব্দুল বাতেন লোকমান হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এবং চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামীরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের বদিউল আলমের পুত্র আয়াত উল্লাহ (২০), একই গ্রামের শাহাদাত কবিরের পুত্র নাজিম উদ্দিন (১৮) ও চিরিংগা ইউপির চরনদ্বীপ এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র আতিকুর রহমান (১৬)। আসামীদের আদালতের স্বীকারোক্তি মতে গুলিবর্ষণকারী ডুলাহাজারার ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের জাফর আলমের পুত্র হেলাল উদ্দিন এখনো পুলিশের জালে ধরা পড়েনি।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার এসআই আব্দুল বাতেন চকরিযা নিউজ প্রতিবেদককে জানান, ডুলাহাজারার লোকমান হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটনের জন্য থানার ওসি, তদন্ত ওসি সার্বক্ষণিক আমাকে সহযোগিতা করায় ইতিপূর্বে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

আটককৃতরা আদালতে লোকমান হত্যার রহস্যসহ নিজেরাও জড়িত এবং হেলাল উদ্দিনকে গুলিবর্ষণকারী হিসেবে স্বীকার উক্তি দিয়েছেন। সুতরাং আমি সহ পুলিশ হেলালকে যেকোন উপায়ে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি, সে অবশ্যই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত: