ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ‘ঘুর্ণিঝড় মোরা’ তান্ডবে লন্ডভন্ড বির্স্তীণ জনপদ: নিহত দুই, ১০ হাজার বসতঘর বিধস্ত, দুইঘন্টা মহাসড়ক বন্ধ

Chakaria Picture 30-05-2017.এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়ায় ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে বিধস্ত হয়েছে ১০ হাজার ২২৮টি বসতবাড়ি। সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে গেছে ১ হাজার ২৯৩টি বসতঘর। তারমধ্যে ১৮ ইউনিয়নে ভেঙ্গে গেছে ১ হাজার ১৯৩টি বসতঘর এবং পৌরসভার ৯টি ওর্য়াডে ভেঙ্গে গেছে ৮০টি বসতবাড়ি। সড়কের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে প্রায় দুইঘন্টা ধরে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মোরা তান্ডবে উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নে সড়ক এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বসতঘরের লক্ষাধিক গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। বিধস্ত হয়েছে হাজার হাজার বসতঘর এবং বিপুল পরিমাণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক এবং গৃহস্থলী গাছ পড়ে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন ছিঁেড় যাওয়ায় গতকাল সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার বিদ্যুত ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় আভ্যন্তরিণ সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় মোরা’র তান্ডবে গাছ চাপা পড়ে উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে এক নারী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন: উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে সিকদারপাড়া গ্রামের ছায়েরা খাতুন (৬২) ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্বডুমখালী গ্রামের আবদুল জব্বারে ছেলে রাহমত উল্লাহ (৪০)। এছাড়া ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডব চলাকালে বসতঘর রক্ষা করতে গিয়ে অন্তত শতাধিক ব্যক্তি কমবেশি আহত হয়েছে।
Chakaria Picture 30-05-2017.(2)চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মোরা তান্ডব মোকাবেলায় আগের দিন সোমবার দুপুর থেকে উপজেলা পরিষদে অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য কন্টোল রুম খোলা হয়। সেখান থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুর্গত এলাকার খবরা-খবর নেয়া হয়। ইউএনও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা এলাকার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা জমা দিয়েছেন। তালিকা মতে ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে উপজেলায় ১০ হাজার ২২৮টি বসতঘর বিধস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ১হাজার ১৯৩টি বসতঘর সম্পুর্ণভাবে বিধস্ত এবং ৯ হাজার ৩৫টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেশির ভাগ বসতঘর কাঁচা ও আধা পাঁকা।
তিনি আরো বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবেলায় সর্তকর্তা জানিয়ে আগেরদিন এলাকাজুড়ে মাইকিং করার পর উপজেলার প্রায় শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার কাম বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয় ৭৪ হাজার ৭৩০জন নারী-পুরুষ। ঘুর্ণিঝড় মোরা’র তান্ডবে গাছ চাপা পড়ে উপজেলায় দুইজন নিহত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ তান্ডবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বির্স্তীণ এলাকার জনবসতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে বিপুল পরিমাণ গাছপালা। পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলরদের দেয়া তালিকা মতে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অন্তত এক হাজার বসতঘর বিধস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ৮০টি বসতঘর সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে মাটির সাথে লুটিয়ে পড়েছে। কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেছে। #

পাঠকের মতামত: