ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কাউন্সিলর রেজাউলের উপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিমের উপর সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি। মঙ্গলবার ২১ জুলাই বেলা এগারোটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের পুরাতন এসআলম কাউন্টার থেকে নিউ মার্কেট মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশনেন ২ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নারী-পুরুষ। এতে অংশনেন পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তারা অবিলম্বে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের উপর হামলায় জড়িত মামলার এজাহারনামীয় সকল আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পাশাপাশি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া মামলার প্রধান আসামি বিএনপির ক্যাডার কফিল উদ্দিন বাহাদুরসহ জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি নিশ্চিতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

কাউন্সিলর রেজাউলের পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে সম্প্রতি সময়ে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছিলো। এই সড়ক নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপির সহযোগি সংগঠন শ্রমিকদলের ক্যাডার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।

এরই একপর্যায়ে কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সাথে কফিল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে কফিল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে সর্বশেষ শুক্রবার (১৭ জুলাই) জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বাসায় ফেরার পথে ধারালো কিরিচ ও দা দিয়ে হামলা চালায় কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এতে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থা। এসময় রেজাউল করিমকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাইপো সাঈদী সাহেদ মিঠুর হাতের দুটি আঙ্গুলও কেটে যায়।

ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুত্বর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে সফল অপারেশন সম্পন্ন হবার চারদিন পর মঙ্গলবার ২১ জুলাই সকালে এলাকায় ফিরেছেন কাউন্সিলর রেজাউল করিম। উন্নত চিকিৎসা শেষে কাউন্সিলর রেজাউল করিম এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি।

প্রসঙ্গত: কাউন্সিলর রেজাউল করিম ও তার ভাইপো সাইদুল হকের উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় হত্যাচেষ্ঠার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন কাউন্সিলর রেজাউলের বড় ভাই কামাল উদ্দিন। মামলার এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ ও বেশ ক’জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারনামীয় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন হামলাকারী চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার তিন ছেলে যথাক্রমে ওয়ার্ড বিএনপি’র যুব-বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দিন বাহাদুর, বড়ছেলে মো.সাহাবউদ্দিন ও অপর ছেলে কামাল উদ্দিন।

পাঠকের মতামত: