নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
করোনার বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশকে সাথে নিয়ে প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এই তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে শ্রমজীবী মানুষ ইজিবাইক, রিক্সা নিয়ে কাজের সন্ধানে বের হয়ে পড়ায় বুধবার সকাল থেকে পৌরসভাসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যান ও জন চলাচল রোধ করতে নতুন করে মাঠে নামানো হয়েছে ১৫০ জন আনসার সদস্যকেও। তারা নির্দিষ্ট স্থানে সড়কে অবস্থান করে ইজিবাইক(টমটম), রিক্সার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।
অপরদিকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেসব মানুষ অযথা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরকেও মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখে মাস্ক না থাকা, অযথা বের হওয়াসহ নানা কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, ভ্রাম্যমাণ আদালতে বুধবার সারাদিন ১৭টি মামলায় ২৫ জনের কাছ থেকে নগদ ৪২২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উপজেলাজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে চকরিয়ায় নিযুক্ত আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দিদারুল আলম, চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর পরও যেসব অসাধু ব্যবসায়ী দোকান খুলছে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়াও যত্রতত্র অযথা ঘুরাফেরা, মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দোষ স্বীকার করাসহ আর্থিকভাবে জরিমানা করা হচ্ছে।
ইউএনও আরো জানান, কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে প্রথম সাতদিনের শেষদিনে নতুন করে মাঠে নামানো হয়েছে ১৫০ জন আনসার সদস্যকেও। তারা পৌরশহর চিরিঙ্গাসহ উপজেলাজুড়ে সার্বক্ষণিক নির্দিষ্ট স্থানে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ তো রয়েছেই।
পাঠকের মতামত: