এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুল প্রত্যাশিত প্রতিবছরের ন্যায় চলতি বছরেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং অভিভাবকদের অনুপ্রেরণায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘উপজেলা পরিষদ মেধা বৃত্তি’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক তত্বাবধানে ৭ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের এ মেধার যুদ্ধ প্রতিযোগীতায় পরীক্ষায় ২১১টি বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৭ম শ্রেণির ৬২৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থী মেধা অন্বেষন প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করেন। উক্ত মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা প্রশাসনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষার এ যুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ের ১৬৭টি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ৪৭৮ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪ টি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ১৪৭ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেন। উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে চকরিয়া থেকে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে কর্মরত ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.সাহেদুল ইসলামের ঐকান্তিক অনুপ্রেরণা ও প্রচেষ্টায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ন্যায় পরীক্ষাটি চালু হয়ে আসছে।
অনুষ্টিত মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক। পরীক্ষায় সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরফাত, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার, উপজেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার রতন বিশ্বাস, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের, মো.আবু জাফর, বিকাশ ধর, উপজেলা টেকনেশিয়ান মো.এরশাদুল হকসহ উপজেলা প্রশাসনের সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মেধা বৃত্তি পরীক্ষার ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিকশিত করার জন্য উপজেলার প্রত্যেক গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যেন মেধার প্রতিযোগীতা সৃষ্টি হয় সে লক্ষ্যে এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মেধা বৃত্তি পরীক্ষাটি নতুন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে অত্যান্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশে অনুষ্টিত হয়েছে।খুবই শিঘ্রই উপজেলা প্রশাসন থেকে এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে উপজেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে নতুন বছরের শুরুর দিকে ভিন্ন ধারায় একই আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান সম্পর্কে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াসে নতুনরূপে চালু করা হবে গণিত ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়র্ড প্রতিযোগিতা।##
পাঠকের মতামত: