ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চেয়ারম্যান মিরানুলসহ ৮জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

চকরিয়ায় আলোচিত মা-মেয়েকে নির্যাতন:পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন অবশেষে আদালতে জমা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে রশিতে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

ওই প্রতিবেদনে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলামসহ ৮ জনের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ উঠে এসেছে। প্রতিবেদন গ্রহনের পর শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার দেব ওই মামলায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানসহ অভিযুক্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক। তিনি বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গতকাল বুধবার হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালতে জমা দেয়া প্রতিবেদনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি কাজী মতিউল ইসলাম ঘটনার সঙ্গে চেয়ারম্যানসহ ওই আটজনের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন। পরোয়ানা জারি হওয়া আটজনের মধ্যে ইতোমধ্যে তিন আসামি গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ২১ আগস্ট চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে রশিতে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। প্রথমদফা ঘটনাস্থলে ও দ্বিতীয়দফা ইউনিয়ন পরিষদে এনে শাররীক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন ২২ আগস্ট রাতে রশিতে বাঁধা অবস্থায় মা-মেয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠে।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব পদ মর্যদার কর্মকর্তা ) শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি গত ২৪ আগস্ট চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি সুয়োমোটো মামলা রুজু করেন আদালতে।

এরপর আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে (চকরিয়া সার্কেল) তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি সার্কেল কাজী মো. মতিউল ইসলাম গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

 

পাঠকের মতামত: