ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার ১২ ইউনিয়নে নির্বাচন আজ সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আতঙ্কে প্রার্থী ও ভোটাররা, ৭০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

াাাানিজস্ব প্রতিবেদক :::
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজারের চকরিয়ার ১২ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। টানা একমাস ধরে চলে আসা প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। তবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রশাসন ভোটগ্রহন সম্পন্ন হবে কি-না তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রার্থী এবং ভোটারেরা। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব ইউনিয়নের ১১১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষ করে ফাঁসিয়াখালী, চিরিঙ্গা, বরইতলী, সুরাজপুর-মানিকপুর, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে সরকার দলের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর অপতৎপরতার কারণে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২টি ইউনিয়নে আইন-শৃক্সক্ষলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন। পাশাপাশি ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং র‌্যাবের ৪টি টিম ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন অভিযোগ করেন, দল তাদেরকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও এই দুই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের এক নেতার ইন্ধনে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও মাঠে আছেন। এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ায় সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কে রয়েছেন।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী এহেছানুল করিম ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মো. সাইফুল কবির চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রশাসনের সহায়তায় এই দুই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে জনরায় ছিনিয়ে নিতে তৎপর রয়েছেন। আগে থেকেই এই দুই প্রার্থীর প্রচারণায় প্রতিনিয়ত বাঁধা দিয়ে আসছিলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। এতে এই দুই ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, চকরিয়ায় প্রথমদফায় আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চকরিয়ার হারবাং, বরইতলী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমু বিলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিঙ্গা ও সাহারবিল ইউনিয়নে। ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৫০জন, সংর—িগত মহিলা সদস্য পদে ১৩৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২৪ জন। এসব ইউনিয়নের ১১১টি কেন্দ্রের ৪২৫টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪১ জন নারী-পুরুষ ভোটার।
চকরিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃক্স—গলা সমন্বয়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে বিজিবি ও র‌্যাবের টহল টিম। কেন্দ্র কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোটগ্রহন কর্মকর্তা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেউ কেন্দ্র দখল বা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইন-শৃক্সক্ষলা বাহিনীর সদস্যদের।
ইউএনও বলেন, ‘একজন বিচারিক ও সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন। নির্বাচনে ৬ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের চারটি টিম নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: