ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার বিলছড়ি স. প্রা. বিদ্যালয় ভবনে ফাটল ঃ আতংকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

schoolঅলি উল্লাহ রনি, চকরিয়া-পেকুয়া ::   চকরিয়া উপজেলা বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত বিলছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদবিশিষ্ট দুটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। চরম আতংকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান চলছে শিক্ষার্থীদের। ওই ভবনগুলো ঘিরে যে কোন মূহুর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৩৫ সালে বিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ৩টি ভবন নির্মিত হয়। তন্মধ্যে ২টি ভবন ছাদবিশিষ্ট ও ১টি টিনসেট। ২০১৫-১৬ সালে কয়েক দফা বন্যায় ওই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের মাটি সরে গিয়ে নি¤েœ আংশিক দেবে যায়। এতে ভবনের দেওয়ালে বিভিন্নভাবে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মাতামুহুরী নদীর ২শ’ মিটার দূরে বিদ্যালয়টির অবস্থান। স্থানীয় ধারণা মতে, বিদ্যালয়টি নদীর অনেক কাছে। তাই অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি উজান থেকে নেমে আসা মাতামুহুরী নদীর পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। এতে প্লবিত হয়ে ভবন ৩টির ফ্লোর নীচে দেবে গিয়ে দেওয়াল সমূহে ফাটল ধরেছে। জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডও ভেঙ্গে পড়েছে। তাছাড়া খেলার মাঠ বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে সয়লাব হওয়ায় দৈনন্দিন এসেম্বলি ক্লাস করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এন.এম মিনহাজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছে ৪জন শিক্ষক। পদ সংখ্যা ৮জন হলেও বাকি ৪জন রয়েছে বিভিন্ন ছুটিতে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১১৫জন ছাত্র ও ২৪১ ছাত্রীসহ মোট ৩৫৬ শিক্ষার্থী রয়েছে। তার উপর বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এমতাবস্থায় ৪জন শিক্ষক নিয়ে ও ফাটল ধরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ২০০১ ও ২০০২ সালে নির্মিত পাকা ভবন ২টির অবস্থা খুবই নাজুক। ঠিকাদারদের অনিয়ম ও নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাই অনতিবিলম্বে মাননীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

[/dropcap]

পাঠকের মতামত: