নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে অবস্থিত ৮টি মৌজার দায়িত্বরত তহশীলদ্বার কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত না থাকার কারণে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ ও সরকারের রাজস্ব আদায়ে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে স্থানীয় লোকজন জমি ক্রয়-বিক্রয় ও বিভিন্ন মামলার রিপোর্ট সঠিক ভাবে না পাওয়ার কারণে দেখা দিয়েছে চরম দূর্ভোগ।
জানা গেছে, উপজেলার উপকূলীয় এলাকা সাহারিবল, পূর্ববড়ভেওলা, পশ্চিম বড়ভেওলা, ডেমুশিয়া, কোনাখালী, বদরখালী, বিএমচরসহ ৮ মৌজার জন্য সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি তহশীল অফিস রয়েছে। এ অফিসে সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, বর্তমান বিএমচর ইউনিয়নের তহশীল অফিসে কর্মরত তহশীল কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ যোগদানের পর থেকে যথা নিয়মে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন জায়গা-জমির ক্রয়-বিক্রয় ও জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তার কোন ধরণের সহায়তা পাচ্ছেনা। ফলে তার অনুপস্থিতির কারণে একদিকে যেমন মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে ঠিক অন্যদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ওই অফিসের কর্মরত এক সহকারী কর্মকর্তা জানান, তহশীল দ্বার ভুক্তভোগির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তার চাহিদামত উৎকোচ পেলে তিনি ওই ভুক্তোভোগির কাজ করে দেয়ার জন্য মাঝে মধ্যে অফিসে এসে হাজিরা দেয়। ছোট-খাট বা দরিদ্রদের কোন কাজ থাকলে তিনি যথা সময়ে অফিসে আসেনা না। যার ফলে অফিসে অনেক ফাইল পড়ে আছে তার কারণে।
ভুক্তভোগি পূর্ব-বড় ভেওলা এলাকার আবদুল করিম জানায়, ওই অফিসে তিনি ১৫দিন গিয়েও সলিমুল্লা’র না থাকার কারণে দাহিলা ( রাজস্ব) আদায় করতে পারেনি। তার মত প্রতিদিন শত শত লোক অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সলিমুল্লাহ.র কাছ থেকে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপরে প্রশাসনে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় ভূক্তভোগিরা।
পাঠকের মতামত: