ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার খুটাখালীতে পুলিশ পরিচয়ে গভীর রাতে সড়কে ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চকরিয়ার খুটাখালীতে গভীর রাতে মাইক্রোবাস যোগে সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে মহাসড়কে ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মহাসড়ক সংলগ্ন সেগুন বাগিচা সড়কের তত্তারব্রীজ নামক এলাকায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে।

ডাকাতদের প্রহারে আহত হন-খুটাখালী বাজারের পান ব্যবসায়ী মোঃ ইলিয়াছ,দোকানদার গিয়াস,মোটরসাইকেল চালক পারভেজ ও ছোটন। ডাকাতির শিকার ইলিয়াছ জানান, স্থানীয় সেগুন বাগিচা এলাকায়।

শনিবার রাত আড়াইটার দিকে পান ক্রয়ের উদ্দেশ্য ৪০হাজার টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় ঘটনাস্থল তত্তারব্রীজে পৌঁছলে পুলিশের ড্রেস পরিধানকৃত দুইজন লোক আমাকে বহনকৃত মোটরসাইকেলকে সিগনাল দেয়।

মোটরসাইকেল চালক গাড়ী স্লো করার সাথে সাথে আমাদের দুইজনকে অস্ত্রধরে জিম্মি করে ফেলে। এরপর আমাদেরকে হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়।

পরে আমার কাছে থাকা টাকা, এন্ড্রয়েড মোবাইল, চালকের কাছেও থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে আমাদের দুইজনকে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। এরপরে দোকানদার গিয়াস ও চালক পারভেজেরা বাজার থেকে যাওয়ার পথে তাদেরকেও একই স্টাইলে ধরে সবকিছু লুট করে। আরও পরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন ছোটন।তাকেও ধরে লুটপাট সহ আমাদের সকলকে মারধর করেছে এবং হাত-পা, মূখ বেঁধে ফেলে রেখে চলে যায় ডাকাতেরা।

তিনি আরো জানান, ডাকাতদের সংখ্যা আনুমানিক ৭/৮ জন হবে। প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল। যে কারণে আমরা শোরচীৎকার করতে ভয় পেয়েছি। তাছাড়া আমরা ডাকাত দলের কাউকে চিনতে না পারায় আইনের আশ্রয় নিতেও পারছিনা বলে জানিয়েছেন এ ভূক্তভোগি।

খুটাখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুর মোহাম্মদ পেটান ডাকাতি বিষয়টির সত্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি এলাকার লোকজনের মুখে-মুখে হয়েছে। তাই ডাকাতির বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি।

খুটাখালী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই মোঃ ইস্রাফিল বলেন, সড়কে ডাকাতি হওয়ার বিষয়টি কেউ আমাকে বা থানায় জানানি। তবু এখন যেহেতু জেনেছি, খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: