ঢাকা,বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

চাউল ও সয়াবিন তেল পাইনি অনেকে 

চকরিয়ার বদরখালীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে সরকারি ন্যায্য মুলে ফেব্রুয়ারী মাসের টিসিবির পন্য সামগ্রি বিক্রিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলারের বিরুদ্ধে লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে। স্মার্ট কার্ডধারী ১০৯৫ জন সু্বিধাভোগীর মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রির জন্য সরকারি গুদাম থেকে মালামাল উত্তোলন করে ডিলার মেসার্স আবদুল্লাহ সন্সের মালিক অহিদুর রহমান ২০ কার্টুন সয়াবিন তেল ও ১০ বস্তা চাউল কম নিয়ে গিয়ে বিতরণ করে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার টিসিবির পন্য বঞ্চিত লোকজন। রোববার ৯ মার্চ বদরখালী ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে টিসিবির পন্য বিক্রি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী লোকজনের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পন্য বিক্রি শুরু করা হয়। ১০৯৫ জন স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগীর জন্য সরকারি গোড়াউন থেকে সমুদয় মাল উত্তোলন করে কৌশলে ডিলার মেসার্স আবদুল্লাহ সন্সের মালিক বদরখালীতে বিক্রির আগে ১২১ কার্টুন সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ১০১ কার্টুন তেল নিয়ে যান। একইভাবে ১০ বস্তা চাউলও কম নিয়ে যান সেখানে।
এ অবস্থায় এদিন টিসিবির পন্য  ডাল ও চিনি মেকামে মজুদ থাকলেও বিকালের দিকে চাউল ও সয়াবিন তেল সংকট দেখা দেয়। পরে অবশ্য ডিলার অহিদুর রহমান তড়িঘড়ি করে গিয়ে বদরখালী খাদ্য গুদাম থেকে ১০ বস্তা চাউল এনে বিক্রি শেষ করে। যদিও সেখানে অনেকে সয়াবিন তেল পাইনি।
অভিযোগ উঠেছে, ডিলার মেসার্স আবদুল্লাহ সন্স চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টিসিবির পন্য বিক্রিতে নানাভাবে অনিয়ম অসঙ্গতি করছেন। সরকারি গুদাম থেকে তিনি স্মার্ট কার্ডধারী সংখ্যা অনুপাতে সমুদয় মাল উত্তোলন করে কৌশলে তাঁর গুদামে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিতরণ এলাকায় কম মাল নিয়ে যেনতেন ভাবে বিক্রি শেষ করে চলে যায়। জানুয়ারি মাসে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে টিসিবির পন্য বিক্রি করার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিযমের অভিযোগ ধরা পড়েছে।
বদরখালীতে টিসিবির পন্য বিক্রিতে ডিলার কতৃক বরাদ্দের পন্য সামগ্রি কম আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এদিন বিকালে টিসিবির পন্য বিক্রির মুহূর্তে চাউলের সংকট দেখা দেয়। পরে ডিলার স্থানীয় বদরখালী খাদ্য গুদাম থেকে পুনরায় ১০ বস্তা চাউল এনে বিক্রি শেষ করে।
বদরখালী ইউনিয়নের টিসিবির পন্য বিক্রি দেখভালের জন্য টেক অফিসার হিসেবে আছেন চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার রমিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমি উপস্থিত থেকে স্মার্ট কার্ডধারী ১০৯৫ জন সুবিধাভোগীর মাঝে মাল বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে ডিলার কতৃক চাউল তেল কম আনার বিষয়টি সঠিক নয়।
ওইদিন বিকালে বদরখালী খাদ্য গুদাম থেকে পুনরায় ১০ বস্তা চাউল এনে টিসিবির পন্য বিক্রি করেছে ডিলার, ওইসময় আপনি কোথায় ছিলেন, মোবাইল জানতে চাইলে তিনি (সমবায় অফিসার) কৌশলে ডিলারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, তিনি সকালে কম আনলেও বিকালে খাদ্য গুদাম থেকে চাউল এনে বিক্রি শেষ করেছে। এখানে অনিয়মের কিছুই দেখছি না।

পাঠকের মতামত: