ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে!

সিএন ডেস্ক ::  দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে সাগর উত্তাল থাকায় ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নিম্নচাপটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করলে এটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।

আবহওয়াবিদ মো. শাহীন হোসেন বলেন, যদি নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে রূপ নেয়, তবে এটির নাম হবে আমফান (amphan)। থাইল্যান্ড নামটি দিয়েছে। নিম্নচাপটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে শক্তি সঞ্চয় করলে। তারপরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আপাতত শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। আরও ঘণীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এটি শুক্রবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার (কিমি) দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তবে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোর জন্য কোনো নির্দেশনা আপাতত নেই।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ১৯ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসতে পারে। এরপর এটি আরও পূর্ব দিকে গতিপথ পরিবর্তন করার আশঙ্কাও রয়েছে।

পাঠকের মতামত: