ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

গোমাতলীতে সরকারী স্লুইচ গেইচ বন্ধ করে মাছ ধরার জাল ; সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী

আতিকুর রহমান মানিক ::

কক্সবাজার সদরের পোকখালীতে ৩ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বর্ণিত ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সরকারী সরকারী স্লুইচ গেইটের প্রবেশমুখ বন্ধ করে মাছ ধরার জাল পেতে রাখায় গত ৩ দিন ধরে এ জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, পূর্ব গোমাতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক স্হাপিত “ইমপ্রুভ গোমাতলী” নামক স্লুইচ গেইট দিয়ে পশ্চিম গোমাতলী, পূর্ব গোমাতলী ও  বারডইল্লা পাড়াসহ আরো কয়েকটি গ্রামের বৃষ্টির পানি নিস্কাশন হয়। সংলগ্ন এলাকার অর্ধডজন চিংড়ি প্রজেক্টেও উপরোক্ত স্লুইচ গেটের মাধ্যমে জোয়ার ভাটার পানি ঢোকানো হয়।

গত কয়েকবছর আগে স্হানীয় মোস্তফা কামাল, আনোয়ার, সরওয়ার ও শেখ কামালসহ কয়েকজন মিলে স্লুইচ গেইটের উজানে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে আরেকটি পানি নিস্কাশন গেইট নির্মান করে। তখন থেকে তারা প্রতি বর্ষায় সেখানে বড় আকারের জাল পেতে মাছ ধরে আসছে। গত কয়েকদিন আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে ঈদগাঁও নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পশ্চিম পোকখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলে ঢলের পানি এসে জমা হয় পূর্ব ও পশ্চিম গোমাতলী গ্রামে। কিন্তু সরকারী স্লুইচ গেইটের আগে স্হাপিত উপরোক্ত অবৈধ স্লুইচ গেইট বন্ধ থাকায় পানি নামতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্হানীয় মোস্তফা কামালের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট মাছ ধরার জাল বসানোর জন্য পানি নামতে দিচ্ছেনা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার। অনেক বাড়ীতে ও রান্নাঘরে পানি উঠায় চুলা জ্বালতেও পারেনি। ফলে রমজান মাসে অনাহারে রোজা রাখতে বাধ্য হয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন ও স্লুইচ গেইট ব্যবস্হাপনায় নিয়োজিত কমিটি ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দুরীকরনে এসময় উপরোক্ত অবৈধ গেইট ও জাল অপসারনের নির্দেশ দিলেও তা মানেনি মোস্তফা কামাল গং। উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল বলেন, পাউবো’র স্লুইচ গেইটের দরজা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানি জমে রয়েছে। জাল বসানোর কথা স্বীকার করলেও এখন জাল তুলে ফেলা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

স্হানীয় ইউ পি মেম্বার কলিম উল্লাহ বলেন, অবৈধভাবে গেইট নির্মান করে মাছ শিকারের ফলে কয়েকবছর আগে থেকেই প্রতিবর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন পানি ব্যবস্হাপনা উন্নয়ন দলের সভাপতি হান্নান মিয়া বলেন, উপরোক্ত নিস্কাশন পুলের কারনে গত কয়েকদিন ধরে তিনটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ীঘর পানির নীচে ডুবে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: