এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব পরিলক্ষিত হবার পর মার্চ মাসের শেষদিনে কক্সবাজারের সরকারি কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া সবধরণের বেসরকারি ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে চকরিয়া উপজেলা সদরে তিনটি সরকারি ব্যাংক খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল সকল বেসরকারী ব্যাংক। এ অবস্থার কারণে টাকা উত্তোলন, জমা দেয়াসহ সবধরণের ব্যাংকিং সেবা থমকে যায়। এতে বিপাকে পড়েন ব্যাংকের হাজার হাজার গ্রাহক।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের প্রভাবের কারণে সরকারি বেসরকারি অফিসপাড়া বন্ধের পাশাপাশি কার্যত বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, গণপরিবহন চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েন শ্রমজীবিসহ সর্বসাধারণ। এ অবস্থায় ব্যাংকে টাকা থাকলেও বন্ধের কারণে অনেক গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে সংশ্লিষ্ট সবমহলে।
এদিকে হাতে টাকা সংকট থাকায় জনগনের দুর্ভোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে সম্প্রতি সময়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক সমুহ খোলা রেখে লেনদেন করার আদেশ দেন। এরই আলোকে রোববার থেকে চকরিয়া উপজেলা সদরে শুরু হয় বেসরকারি ব্যাংক সমুহের কার্যক্রম।
খোলার দ্বিতীয়দিনে সোমবার (২০ এপ্রিল) চকরিয়া শহরের বেসরকারি অন্যতম বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক চিরিঙ্গা শাখায় গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল আটটা থেকে ব্যাংকের শত শত গ্রাহক টাকা উত্তোলন বা টাকা জমা দেয়ার জন্য লেনদেন কার্যক্রমে উপস্থিত হন। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাংকিং কার্যক্রমে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের কথা বলা হলেও ইসলামী ব্যাংকের চিরিঙ্গা শাখার অফিসের নীচে ফুটপাতে গ্রাহকদের সারিবদ্ধ লাইনের উপস্থিতি লকডাইন নিয়ম অনেকটা লঙ্ঘন করেছে। #
পাঠকের মতামত: