ঈদগাঁহ প্রতিনিধি :: চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে বসতবাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে ঘেরাবেড়া ও বাড়ি ঘরে ভাংচুর চালিয়ে মোবাইল, আসবাবপত্রসহ লাখ টাকার মালামাল ও সিএনজি গাড়ি লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে নারীসহ ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। তারা হলেন বর্নিত ইউনিয়নের হেতালিয়া পাহাড় গ্রামের আবদুল হাকিমের স্ত্রী শামসুনন্নাহার (৬৫), পুত্রবধু আমান উল্লাহর স্ত্রী শাহিনা আকতার(২৩), কন্যা শাহিনা বেগম(১৯) ও সিএনজি ড্রাইভার জিয়াউর রহমান(১৭)। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড হেতালিয়া পাহাড় গ্রামের আবদুল হাকিমের বসতবাড়িতে ঘটে এ ঘটনা। ঘটনার পর পরই স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সহায়তায় লুটকৃত সিএনজি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের চরম হুমকিতে আবদুল হাকিমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বর্নিত ইউনিয়নের হেতালিয়া পাহাড়ের বাসিন্দা মৃত আমির আলীর পুত্র আবদুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটায় পরিবার নিয়ে শান্তিপুর্নভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। বিগত মাস দুয়েক ধরে তাদের বসতভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার ভুমিদস্যুদের। তারা বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে আবদুল হাকিমের বসতভিটা দখলে নেয়ার পায়তারা করে। ইত্যবসরে ভুমিদস্যুরা বসত ভিটায় তাদের জমি রয়েছে মর্মে নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে কোন সুরাহা করতে না পেরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় একই এলাকার জিয়া উদ্দীন কাজল,নাছির উদ্দীন পেটান, ইব্রাহীম, রমজান, নুরুল আবছারসহ ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ লাটিয়াল কোন কিছু বুঝে উঠার আগে বসত ভিটায় প্রবেশ করে ঘেরাবেড়া ও দরজা ভাংচুর করে।
এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে কাজল গংয়ের দা, লাটি সোটার আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছে ৪ নারী পুরুষ। এসময় আবদুল হাকিমের পুত্র নুরুল আমিনের সিএনজি চালককেও মারধরে করে গাড়িটি লুট করেন। পরে স্থানীয় সিএনজি সমিতির সভাপতির মধ্যস্থতায় গাড়িটি উদ্ধার করেন ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল আওয়াল। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। আবদুল হাকিমের পুত্র নুরুল আমিন জানায়, ঘরে পুরুষ শুন্য থাকায় কাজল গং হামলা চালিয়ে লাখ টাকার আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। ভাংচুর করেছে ঘেরাবেড়া ও তার সিএনজি গাড়ি।
এ ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। এদিকে হামলার পর থেকে আবদুল হাকিমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বর্তমানে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত: