কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন খুটাখালী বন বিট এলাকার সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে ঘেরা বেড়া দিয়ে পাকা দালান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা ইতিমধ্যে সেগুন বাগিচা এলাকায় খুটাখালী বন বিটের দীর্ঘদিনের নার্সারী বাগানের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ ৩ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় গতকাল শুক্রবার রাতে এজাহার দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত এজাহারে জানা গেছে, ৬৩ নং জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সরকারী সংরক্ষিত বনভূমি আর.এস. ৩৭/৭১. বি.এস. ৩৬ নং দাগের ১৯৫১ সনের সেগুন বাগিচা এলাকায় স্থানীয় জয়নালগং শুক্রবার প্রকাশ্যে দালান ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি খুটাখালী বনবিট প্রহরীরা ঐ এলাকায় টহলদান কালে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এসময় তারা সাবেক হেডম্যান জয়নালের নেতৃত্বে প্রায় ৭/৮ জন লোক পাকা দালান নির্মাণ কাজ দেখতে পায়। বিষয়টি বনবিট কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাককে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিক ঐ এলাকায় পৌছলে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা লাটিসোটা ও দা নিয়ে তাদেরকে আক্রমনের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ভূমিদস্যুদের সাথে বন প্রহরীদের ব্যাপক বাকবিতন্ডা ঘটনা ঘটে। এসময় ভূমিদস্যুরা অকথ্য ভাষায় বন প্রহরীদের গালিগালাজ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়ে হেডম্যান জয়নাল দাম্ভিকতা দেখিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করে প্রাণ নাশের হুকমি দেয়। এসময় জয়নালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তিনি মারমূখী হয়ে বন প্রহরীদের উপর চড়াও হন। ঘটনাস্থল থেকে বন সংশ্লিষ্টরা ৩ টুকরা ৫ সুতা রট, প্রায় শতাধিক ইট জব্দ করে বিট অফিসের নিয়ে আসার চেষ্টা করলে ভূমিদস্যুরা জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে বনপ্রহরী জেহেসান আলী আহত হন। এ ঘটনায় খুটাখালী বন বিট কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক ফরেষ্টার বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় ৩ জনকে অভিয্ক্তু করে এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন ইউনিয়নের সেগুন বাগিচা চড়িবিল গ্রামের মৃত ফজল করিমের পুত্র জয়নাল (৫২) তার ভাই জসিম (৪২), মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত কালু প্রকাশ টেইলা কালুর পুত্র জামাল (৪০) এবং অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন নারী পুরুষ।
পাঠকের মতামত: