ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

খুটাখালীতে পল্লী বিদ্যুতের লোভোল্টেজ: দিন রাত টমটম রিক্সার চার্জ বাণিজ্য!

cnসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে গ্রাহক অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে দেয়া হচ্ছে লো ভোল্টেজ। আর রাতে চলে টমটম রিক্সার চার্জ বাণিজ্য। ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে এ অপকর্ম চলছে বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়নের একাধিক গ্রাহক। ভুক্তভোগীরা তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে খুটাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার গ্রহকের সেবা কার্যক্রম। সেবার নামে ইউনিয়নের কতিপয় দালালরা পল্লী বিদ্যুতের অসাধু কর্মকর্তাদের আঁতাতে মেতে উঠেছে গলাকাঁটা বাণিজ্য। প্রতিদিন ২/৪ বার ঘন ঘন লোডশেডিং দিয়ে ব্যবসায়ীসহ সর্বশ্রেণীর গ্রাহকদের বারোটা বাজাচ্ছে।

একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে দেয়া হচ্ছে লো ভোল্টেজ। যেখানে ২২০ ভোল্ট বিদ্যুৎ দেয়ার কথা সেখানে দেয়া হচ্ছে ১৭০-১৮০ ভোল্ট বিদ্যুৎ। যার কারণে ইউনিয়নের একাধিক সেচ পাম্প, বরফ কল, স’ মিল, রাইচ মিলসহ ছোট বড় কারখানা অচল হয়ে পড়েছে। ভোল্টেজ না থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লো ভোল্টেজের কারণে বিদ্যুৎ বিলও অনেক গুন বেড়ে যাবে।

সেচ পাম্প মালিক ছিদ্দিক জানান, লো ভোল্টেজের কারণে কৃষকদের চাহিদা মত পানি স্কীম দেয়া যাচ্ছে না। বাজারের বিভিন্ন ভবন মালিকদের অভিযোগ, দিনের বেলায় মোটর চালিয়ে পানি তুলা যাচ্ছে না। তারা আরো জানান, লো ভোল্টেজের কারণে অনেক পানির মোটর নষ্ট হয়েছে।

সাধারণ গ্রহাকরা জানান, দিন রাত একই রকম ভোল্টেজ। যার কারণে বাসা বাড়ির ফ্রিজে রক্ষিত মাছ মাংশ নষ্ট হচ্ছে।

স’ মিল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি মাসে ১০/১৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়ার পরও লো ভোল্টেজের কারণে ব্যবসার লোকশান হচ্ছে।

একাধিক রাইচ মিল মালিকরা জানিয়েছেন, ইউনিয়নে গুটি কয়েক বিদ্যুৎ দালালদের কারণে ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা খুটাখালীতে বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে বৈষম্য করছেন। তারা মিটার লাগানো, রিডিং, সাইট কানেকশন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। ডুলাহাজারা অফিসের ইনচার্জের যোগসাজশে কয়েকটি রাইচ মিলে রাতে চলে টমটম ও ব্যাটারী চালিত রিক্সার চার্জ বাণিজ্য। এসব মিল থেকে বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।

এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা অফিসের ইনচার্জের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবৈধ কোন লাইন ও টমটম রিক্সার চার্জ বাণিজ্যে তিনি জড়িত নন ।

১৮ জানুয়ারী ১৭

পাঠকের মতামত: