ডেস্ক নিউজ :
কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, যার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ থাকলেও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আমি ইয়াবা বা অন্য কোনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছু মিডিয়াও ইয়াবা ব্যবসা করছে। সাংবাদিকরাও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি যখন মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেই, তখনই মিডিয়ারা সিন্ডিকেট করে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ কারণে সংসদে আমি চ্যালেঞ্জ করে বক্তব্য দিয়েছি।’
‘ইয়াবা ব্যবসা এবং মানবপাচার করে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন আপনি’- এমন অভিযোগের বিপরীতে বদি বলেন, ‘আমার এত টাকা কোথায়? টেকনাফে এসে দেখে যান। একটি শীর্ষ দৈনিকের এমন মনগড়া রিপোর্টের কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। সে মামলায় আমি জেল খেটেছি।’
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’
আপনার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তা বলেছেন- এর জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধেও করতে পারি। কিন্তু প্রমাণ তো লাগবে। আমার নির্বাচনী এলাকায় এসে খোঁজ নিন। মানুষ কী বলে, শুনুন।’
টেকনাফ-উখিয়া দিয়েই ইয়াবার বড় চালান আসে। এটিই আপনার নির্বাচনী এলাকা? এর জবাবে বদি বলেন, ‘বরিশাল বা গুলশানে যেসব ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে, সেগুলো তো চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা। ইয়াবা আকারে ছোট। বিভিন্ন রুট দিয়েই আসে। টেকনাফ বর্ডার অরক্ষিত। আমি কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার জন্য সংসদে বক্তব্য দিয়েছি।’
সরকারের মাদকবিরোধী চলমান অভিযানকে কীভাবে দেখছেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘অভিযান ভালো। যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজকে বাঁচানোর জন্য এই ধরনের অভিযান আরও আগে করা উচিত ছিল।’
অভিযানে তৃণমূলপর্যায়ের ব্যবসায়ীরা মরছেন। অধরা মাদকের গডফাদাররা? এ প্রসঙ্গে বদি বলেন, ‘শুরু হয়েছে মাত্র। শেষ না দেখে মন্তব্য করা ঠিক নয়। শুরু দেখেই যদি বিএনপির মতো সমালোচনা করেন, তাহলে বিতর্ক তৈরি হয়।’
অভিযান নিয়ে আপনার মধ্যে কোনো আতঙ্ক কাজ করছে কি না- ‘মাদকবিরোধী চলমান অভিযানে গ্রেফতার বা ক্রসফায়ার আতঙ্কে আমি ভীত নই। আমি কোনো অবস্থাতেই ভয় পাই না। কেন ক্রসফায়ারের ভয় থাকবে আমার মধ্যে? কেন গ্রেফতার হবো? আমি কি এসবের সঙ্গে জড়িত? ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেদের। কিন্তু পালাতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। পালানোর কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। অথচ অভিযোগের তালিকায় তাদের কোনো নাম নেই। মিডিয়া যাদের নাম বলছে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান হচ্ছে। জামায়াত-বিএনপির ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা প্রশাসনকে দিয়ে ম্যানেজ করছে’- জবাবে বলেন বদি।
আপনারা জামায়াত-বিএনপির ব্যবসায়ীদের মোকাবেলা করছেন না কেন- এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছি। অভিযান শুরুর পর তারা এখন এলাকা ছাড়া।’
পাঠকের মতামত: