মোঃ নিজাম উদ্দিন, ডুলাহাজারা :
ঈদসহ কোনো বড় উৎসবকে সামনে রেখে দেশে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এবার কুরবানির ঈদের প্রাক্কালেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে কুরবানির পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টির হানার খবর পাওয়া গেছে। দেশে অর্থনৈতিক লেনদেন যখন বেড়ে যায়, তখনই দৌরাত্ম্য বাড়ে এসব অপরাধী চক্রের। কুরবানির হাট অবশ্যই এদের জন্য বড় মওকা।
এদিকে সারা দেশের মতো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, খুটাখালী বাজার, ফাঁসিয়াখালী ভেন্ডী বাজার, পৌর সভার ঘনশ্যম বাজার, পৌর বাসটার্মিনাল, মগবাজার, পালাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, কৈয়ারবিল পরিষদ, লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার, বরইতলী রাস্তারমাথা, হারবাং বাজার, বিএমচর পরিষদ মাঠ, ভেওলা মানিকচর স্কুল মাঠ, বদরখালী স্কুল মাঠ, সাহারবীল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠ সহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা পশুর হাটে আসেন, সমাগম হয় হাজার হাজার ক্রেতারা। তাদের কাছে পশু কেনা-বেচার নগদ টাকা থাকে। নানা চক্র নানা কৌশলে তৎপর থাকে এসব হাতিয়ে নিতে। কাজেই এদের ব্যাপারে পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারি রাখা উচিত। কুরবানির হাট জমে উঠছে দেশের সর্বত্র। সকলের প্রত্যাশা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক তৎপরতায় কোথাও আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।
ঈদের এই সময় শুধু পশুর হাটেই নয়, যানবাহনে চলার পথে, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, কর্মব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় বিভিন্ন খাবার দোকান, চা স্টল এবং পানীয় বিক্রির দোকান সবখানেই থাকতে পারে অজ্ঞান পার্টির ফাঁদ। কাজেই সর্বত্রই সতর্কতার বিকল্প নেই।
পাঠকের মতামত: