ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল জেটি মারাত্মক ঝুঁকিতে

ছবি:: কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল জেটি সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা
এম.এ মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক ::

মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে কুতুবদিয়ার সর্ব দক্ষিণে আলী আকবর ডেইল জেটি। ২০০৮ সালে জেটি নির্মাণের মাত্র এক যুগেই জেটির ৯০ ভাগ পিলারে ফাঁটল ধরেছে। অর্ধেকটা রেলিং ভেঙে সাগরে পড়ে গেছে বা ঝুঁলে আছে। সংস্কারে হাত দেয়া হয়নি দীর্ঘ এক যুগেও জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আলী আকবর ডেইল টু উজানটিয়া ঘাটে পারাপার ছাড়াও কক্সবাজার নৌরুটে চলাচলকারি যাত্রীবাহি লঞ্চ সাভিস প্রতিদিন দু‘বার ভেড়ে এই ঘাটে। এছাড়া প্রতিদিন অনেক ফিশিংবোট নোঙড় করে মাছ ওঠা নামা করে থাকে। যাত্রী ওঠা-নামা সহ মালামাল খালাসে ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।

স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দিন জানান, এতো অল্প দিনেই জেটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে তা তারা ভাবেননি। অধিকাংশ পিলারে ফাঁটল। রেলিং কয়েকটা ভেঙে সাগরে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আগামীতে এই জেটির গুরুত্ব অধিক বেড়ে যাবে। মাতারবাড়ি-উজানটিয়া-মগনামা সড়ক নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। এ জেটি থেকে কক্সবাজারে যেতে স্থল পথে সময় বাঁচবে কয়েকগুণ।
এ ছাড়া মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে আলী আকবর ডেইল জেটির গুরুআরো বেড়ে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ। যে কারণে তারা এ জেটি সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক খাস কালেকশন হিসেবে চুক্তিভিত্তিক টোল আদায়কারি আব্দু রহমানের ভাই মো: ছোটন জানান, বর্তমানে যাত্রী আর মালামাল ওঠানামা কিছুটা কম। তবে জেটির অবস্থা খুবই নাজুক। পুরো জেটি ঝুঁকিপুর্ণ। রেলিং ভেঙে গেছে অনেকগুলো। তারা এ জেটিটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

উপ-সহকারি প্রকৌশলী জামাল খান জানান, আলী আকবর ডেইল জেটি অনেকটা ঝুঁকিপুর্ণ হচ্ছে দিন দিন। সেখানে নতুন জেটি হবেনা। মেরামতের উদ্দেশ্যে একটি সার্ভে করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। তবে কবে নাগাদ এটি সংস্কার হবে তা বলতে পারেননি তিনি।
সহ-কারি কমিশনার (ভ’মি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, করোনাকালীন সময়ে আলী আকবর ডেইল জেটি সরকারি ভাবে ইজারা হয়নি। খাস কলেকশন করা হচ্ছে ভূমি অফিসের মাধ্যমে। সংস্কারের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: