ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়া আদালতের জিআরও’র খেদোক্তি “সাংবাদিকের ক্ষমতা বহুত দেখেছি”

kutমুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কুতুবদিয়া থেকে ফিরে ::

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ঘুষখোর জিআরও’র খেদোক্তি করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে হুংকার দিয়ে বলেছেন “সাংবাদিকের ক্ষমতা বহুত দেখেছি। কি করতে পারেন দেখান এবং আমিও দেখে নিব” বলে হুমকি দিয়েছে কুতুবদিয়ায় কর্মরত স্থানীয় পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদকর্মীকে। গত ২২ জুলাই একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের হাজারিয়া পাড়া থেকে কুতুবদিয়া আদালতে আসেন হাবিবা নামের এক গৃহবধু। এসময় তাকে একান্তভাবে আদালতস্থ পুলিশ ব্যারাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ৫২০০ টাকা ঘুষ নেন কুতুবদিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও)।

এরপর ওই গৃহবধুর স্বামীকে জামিনে ছাড়িয়ে আনবেন উল্লেখ করে আরো বিশ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন জিআরও। এসময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং একপর্যায়ে হাবিবাকে জড়িয়ে ধরে জোরপূর্বক (ব্যারাকে) বিছানায় নিয়ে যেতে টানাহেচড়া করলে চিৎকার দেয় হাবিবা। তার চিৎকারে আদলত এলাকায় থাকা কয়েক জন আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারী এসে তাকে উদ্ধার করে। এমন একটি সংবাদ গতকাল ৬ আগস্ট (রবিবার) কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর জিআরও’র সাথে কথা হলে তিনি দম্বের সাথে সাংবাদকর্মীকে উপরোক্ত উক্তিসহ কটুক্তিমূলক বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন।

এদিকে কুতুবদিয়া আদালত পাড়ায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানাযায়, জিআরও ইউনুছের হাতে নাজেহাল ও হয়রানীর শিকার হয়নি এমন বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা খুবই নগন্য। বিচার প্রার্থীদের ঘুষের পরিমাণের উপর নির্ভর করে সুন্দর আচরন ও সেবার মান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিচারপ্রার্থী অভিযোগ করে বলেছেন, মামলার বাদী/বিবাদীর কাছ টাকা পেলে অনেক গুরুতর মামলার নথিও রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলে এই জিআরও। এতে মামলা নিষপত্তি কিংবা মামলার রায় ভিন্নদিকে প্রবাহিত হয়। ফলে অনেক নিরীহ বিচারপ্রার্থী সঠিক বিচার পাননা। কয়েকদিন আগেও একজন নিরীহ জামিন প্রাপ্ত আসামীকে কোন কারণ ছাড়াই ২২ঘন্টা আদালত হাজতে আটকে রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এ জিআরও’র বিরুদ্ধে।

এছাড়াও একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, এ জিআরও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় দায়িত্ব পালনকালে একাধিক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেয়। সর্বশেষ সেখানে একটি নারী কেলেংকারী মামলায় জড়িয়ে পড়ে এবং কুতুবদিয়ায় বদলী হয়ে আসে।

পাঠকের মতামত: