আব্বাস সিদ্দিকী. কুতুবদিয়া ::
কুতুবদিয়ায় অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীর সংখ্যা। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন কোন ঘর কমই আছে, যে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী নেই। বেশিরভাগ রোগীই গ্রামের নানা ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে তা সেবন করছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীরাই করোনা পরিক্ষা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে অনিহা প্রকাশ করছে। যারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে তাদের আবার করোনা পরিক্ষা করতে খুব একটা আগ্রহী নয়। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেইন প্রতিক্রিয়ায় ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আবার র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৬ জনের করোনা পজিটিভ। এ নিয়ে এক দিনেই ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা করোনা কমিটির আহবায়ক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রেজাউল হাসান বলেন, জ্বরে আক্রান্ত রোগী দিন দিন বাড়লেও করোনা শনাক্ত হওয়ার ভয়ে পরিক্ষা নিচ্ছে না। শুধু মঙ্গলবারই র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে মাত্র ১৫ জন রোগীর মধ্যে পজিটিভ আসে ৬ জনের। এপর্যন্ত উপজেলায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ১০৪ জন ও রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেইন প্রতিক্রিয়ায় ১ হাজার ১শ ৩৫ জনসহ মোট ১ হাজার ২শ ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১শ ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। টিকা নিন, জ্বর হলেই নমুনা পরিক্ষা করার জন্য কুতুবদিয়াবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ, চীনের সিনোফার্ম টিকা এসেছিল ১ হাজার ৪০০ টি। তার মধ্যে টিকা গ্রহন করেছেন ৭শ ৮০ টি এবং অবশিষ্ট আছে ৬শ ২০ টি।
এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে কুতুবদিয়ায় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কাউট দল মাঠে রয়েছে।
পাঠকের মতামত: