ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে লবন চাষে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি

এম.এ মান্নান, কুতুবদিয়ায় :: কুতুবদিয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে লবন চাষে। উপজেলার সাড়ে ৬ হাজার একর লবনের জমিতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় চাষিরা দিশেহারা। চলতি বছর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে লবন চাষ হচ্ছে। পুরো মওসুমের অর্ধেক সময়েই দাম পরে যাওয়ায় চাষিরা রয়েছে চালান তোলার অপেক্ষায়। আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে লবন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

মাত্র এক মাস সময় থাকতে হঠাৎ গত বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়ো-হাওয়ায় গাছ-পালার তেমন ক্ষতি না হলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন লবন মাঠে। সাড়ে ৬ হাজার জমিতে পড়ে বৃষ্টির মিঠা পানি । মূহুর্তেই তলীয়ে যায় উঠতি লবন সহ মাঠগুলো।

লেমশীখালী শাহাজির পাড়ার লবন চাশি মন্জুর আলম জানান, হঠাৎ ঝড় আসায় তাদের মাঠে ছড়িয়ে থাকা লবন উঠাতে সম্ভব হয়নি। একই সাথ বৃষ্টির দরুণ মিঠা পানিতে মাঠ পিছিয়ে গেছে ৫/৬ দিন। ফলে প্রতি একরে অন্তত ৪০ মন লবন কম উৎপাদন হবে। সামনে আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বর্তমানে লবনের দাম প্রতি মণ ২৫০ টাকা হলেও ঘাটতি পোষাতে পারবেন না তারা।

একই এলাকার লবন ব্যবসায়ি শফিউল আলম বাবুল জানান, লবন উৎপাদন মওসুম প্রায় শেষ। তবে এসময় ঝড়-বৃষ্টিতে চাষিদের লবন উৎপাদন শেষ মুহূর্তে ব্যহত হওয়ায় ক্ষতি সাধন বেশি হবে বলে তিনি মনে করেন।

দক্ষিণ ধুরুং দরবার রাস্তার পাশের লবন মাঠের চাষি বদিউল আলম বলেন, চলতি মওসুমে কয়েকবার বৃষ্টিতে মাঠ তলীয়ে যাওয়ায় লবন উৎপাদন কম হয়েছে। আবার গত বুধবারে একই পরিস্থিতির শিকার তারা। লবনের দাম হঠাৎ ওঠা-নামা করে থাকে। প্রতিমণ ৩০০ টাকার উপরে না হলে তারা চালান তুলতে পারবেন না বলে জানান।

উত্তর ধুরুং বাঁকখালী লবন মাঠের ব্যবসায়ি ও চাষি সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, মাঠে লবনের দাম ২৫০ টাকা মণ। চলতি মওসুমে কয়েক দফা বৃষ্টিতে পিছিয়ে গেছে লবন উৎপাদন। হঠাৎ গত বুধবারে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে আবারো মাঠে পানি। মাঠ শুকাতে সময় লাগবে অন্তত ৬ দিন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লবন কিছুটা পেতে পারে চাষিরা। লবনের দাম না বাড়লে খরচ তুলতেই হিমশিম খাবে প্রতিটি লবন চাষি।

পাঠকের মতামত: