এম.আর. মাহামুদ ::চকরিয়া হাসপাতাল সড়কে ময়লা পানিতে সয়লাব। হাটতেও ইচ্ছে হয়না, দেখতেও ভাল লাগেনা। তারপরও পথ চলা থেমে নেই। শখ করে কেউ হাসপাতালে যায়না। নানা রোগে আক্রান্ত হলে সু-চিকিৎসার জন্য মানুষ হাসপাতালে যায়। যাওয়ার পথে সড়কের ময়লা পানির দৃশ্য দেখলে যে কারো বুমি আসবে। এ অস্বাস্থকর অবস্থা কেউই দেখছেনা। কার কাছে গেলে সড়কটির এমন অবস্থার পরিবর্তন হবে, তাও জানিনা। তারপরও হাসপাতালের অবস্থান যেহেতু পৌর সদরে সেই হিসেবে পৌর পিতার শুভ দৃষ্টি কামনা করা ছাড়া উপায় কি! হয়তো তিনি আন্তরিক হলে হাসপাতাল সড়কের চিরচেনা অস্বাস্থ্যকর দৃশ্যটুকু পরিবর্তন হবে। প্রতিদিন শত শত রোগী চকরিয়া হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ও স্টাফরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য সোসাইটি মসজিদে যায় শত শত মুসল্লি। জনগুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানের সড়কটি এমন হলে মন্তব্য করার কিবা আছে। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা বিশিষ্ট। বর্তমানে আরো ৫০ শয্যা বাড়ানোর জন্য একটি ভবনসহ ডাক্তার ও কর্মচারীদের ৫টি বাসা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ এলাকার লোকজন সু-চিকিৎসা থেকে তেমন একটা বঞ্চিত হবেনা বলে আশাকরা যায়। চকরিয়া হাসপাতাল হওয়ার পর এ সড়কের দু’পাশে অসংখ্যা ফার্মেসী (ঔষুধের দোকান) হয়েছে। এসব ফার্মেসীতে বেসুমার রোগী ঔষুধ ক্রয় করতে ভীড় জমায়। বর্ষা মৌসুমে হাসপাতাল সড়ক হয়ে সব পানি হাসপাতালের দিকে গড়িয়ে যায়। বৃষ্টির পানি কোন না কোন দিকে যাবে, যা চিরন্তন সত্য। তবে হাসপাতাল সড়কের দু’পাশের মার্কেটগুলোর ময়লাযুক্ত পানি সড়ক দিয়ে গেলে সাধারণ মানুষ বিব্রত হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। হাসপাতালের উত্তরাংশে পানি চলাচলের একটি ড্রেইন থাকলেও তাও ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সব সময় হাসপাতাল সড়কে ময়লাযুক্ত পানি জমাট থাকতে দেখা যায়। হাসপাতাল ও পৌরসভায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছে, তারা কি এসব ময়লাযুক্ত পানি দেখেনা। একটি কথা না বললে হয়না “অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকেনা” অনুরূপ অবস্থায় বেহাল হয়ে পড়েছে হাসপাতাল সড়কটি। দু’পাশের মার্কেটের মালিকেরা এসব দেখেও দেখছেনা। হয়তো তারা স্থানীয় বলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের সাহসও পাচ্ছেনা। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কোন মার্কেটের ময়লার টাঙ্কি থেকে এসব ময়লাযুক্ত পানি বের হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়না? হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছে। কিন্তু তারাকি বিষয়টি দেখছেনা? আসল কথা হচ্ছে সমাজের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি সরকারী বড় বড় কর্মকর্তা অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়না। মোবাইল করলেই হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারেরা তাদের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করে আসে। সেকারণে হয়তো হাসপাতাল সড়কের দিকে কারো নজর নেই। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মনির খানের গানের একটি কলি বাধ্য হয়ে উল্লেখ করতে হচ্ছে- কারে বুঝাবো মনের দুঃখ গো বুক চিরিয়া……..। চকরিয়ার সাধারণ মানুষের বুক ফাটলেও মুখ ফাটছেনা। কেউ প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যাচ্ছেনা। আল্লাহর ওয়াস্তে জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা একটু তৎপর হলে এই ছোট সমস্যাটি সমাধান করা কোন ব্যাপারইনা।
প্রকাশ:
২০১৮-০৯-০৮ ১১:৫৩:১০
আপডেট:২০১৮-০৯-০৯ ১১:৩৪:৪৭
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- ঈদগাঁও’র নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
পাঠকের মতামত: