প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: ভবিষ্যতে কর্মী সুরক্ষায় সেইফগার্ডিং এবং প্রোটেকশান ফ্রম এক্সপ্লোয়েশান অ্যান্ড এবিউজ (চৎড়ঃবপঃরড়হ ভৎড়স ঝবীঁধষ ঊীঢ়ষড়রঃধঃরড়হ ধহফ অনঁংব) পিএসইএ বা শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষার বিষয়টি অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছে ব্র্যাক। এই নিয়ে কর্মীদেরকে আরও সচেতন করতে ভবিষ্যতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরালো করবে সংস্থাটি।
আজ রোববার (১৩ই জুন, ২০২১) কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘সেইফ গাডিং অ্যান্ড পিএসইএ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন। ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (এইচসিএমপি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। গত ৯ জুন থেকে শুরু হওয়া চারদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ আজ রোববার শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণে ব্র্যাকের এইসিএমপি এর আওতাধীন বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে প্রায় ১৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, একই কর্মসূচির আওতাধীন জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স (জিবিভি) এর টেকনিক্যাল হেড হাসনে আরা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা। এর আগে প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে ব্র্যাকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির এইচএমপি এর-অপারেশন্স হেড শাহানা হায়াত, একই কর্মসূচির আওতাধীন অ্যাডমিন, লজিস্টিক্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট এর- হেড জিয়া উদ্দিন, তৃতীয় দিন উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক এইচসিএমপির মানব সম্পদ বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি কর্মসূচির মানব সম্পদ বিভাগের (ট্রেনিং অ্যান্ড সেইফগার্ডিং) ম্যানেজার ফারজানা সিদ্দিকা। শেষ দিনে প্রশিক্ষক হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন ব্র্যাকের লার্নিং অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট কর্মসূচির খোন্দকার শফিকুল আলম এবং নিতু বড়ুয়া। ব্র্যাক এইচসিএমপির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন কীর্তি বিজয়া ও রেজাউল কবির।
ব্র্যাক কর্মী, ব্র্যাকের অংশীদার, সুবিধাভোগী, স্বেচ্ছাসেবক, সরবরাহকারী, রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির সকল মানুষের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে ব্র্যাকের সকল কর্মীদের এবং শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, ব্র্যাকের মূল্যবোধ কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরির মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে ব্র্যাক এইচসিএমপি সেইফগার্ডিং অ্যান্ড পিএসইএ ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করছে।
হাসনে আরা বেগম বলেন, ব্র্র্যাক কর্মীদের সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশ ঠিক রাখতে একটি সুন্দর সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চায়। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, কর্মীদের পাশাপাশি আমরা যেসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করি তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
এ সম্পর্কে ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, ‘সেইফগার্ডিং’কে কেবল ‘কর্মী সুরক্ষা’ হিসেবে বিবেচনা করলে হবে না। এটাকে এখন ‘রিসপনসিবিলিটি’ হিসেবে দেখতে হবে। যাতে আমরা নিজেরাই সচেতন হয়ে আমাদের কর্ম পরিবেশ সুন্দরভাবে বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, এখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোর কারণে নারীরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। কিন্তু এটা আবার পরিবর্তনও হতে পারে। এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরেও পরিবর্তন আসে। তাই ‘সেইফগার্ডিং’ এখন শুধু নারীদের বিষয় নয়, বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মপরিবেশ ঠিক রাখতে এটি এখন সবার অপরিহার্য বিষয়।
পাঠকের মতামত: