ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে

কঠিন চ্যালেঞ্জে সাংসদ জাফর আলম

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বর্তমান সাংসদ জাফর আলম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন নিয়ে অনেকটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সাথে আঁতাত, দখল, বেদখল ও গত ইউপি ও জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা সহ নানা অনিয়মের কারণে তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া এবারে এই আসন থেকে আরও পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন চাচ্ছেন।

তারা হলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের মনোনয়ন প্রাপ্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী সাবেক শিক্ষা মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম।

তবে এ আসনে জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জেপির) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নাম। শেষ মুহুর্তে কার ভাগ্যে জুটবে মনোনয়ন তা দেখার প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার মানুষ।

এদিকে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ঢাকায় অবস্থান করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তারা দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নানা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শেষ মুহুর্তে দলীয় প্রধান কাকে মনোনয়ন দিচ্ছেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত একসপ্তাহ।

ইতোমধ্যে অন্যান্য আসনে অনেক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন। গত ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ির প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিককে পরিচয় করিয়ে দেন। তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেলেও কক্সবাজারের অন্য তিনটি আসনের বর্তমান সাংসদরা মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিনবারের মনোনয়ন প্রাপ্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম।

তারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তবে এ আসনে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন জাতীয় পার্টি (জেপির) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নাম।

শেষ মুহুর্তে বর্তমান সাংসদ জাফর আলমকে মনোনয়ন না দেবে এটা ধরে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে একাধিক সূত্র মনে করছে, বর্তমান সরকার নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমুলক করতে মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টি (জেপির) প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাহ উদ্দিন মাহমুদকেও আসনটি ছেড়ে দেয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জোটগতভাবে মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। গণসংযোগের ছবি, স্মার্ট কার্যক্রমের ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে দলীয় টিকিটের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

যদিও আগে ভাগেই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, দলীয়ভাবে গোপনীয় তথ্য ও প্রার্থীর আমলনামা দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। সেই আমলনামার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যার জনসমর্থন আছে, ক্লিন ইমেজে যে এগিয়ে থাকবেন তাকেই দলীয় টিকিট দেয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে। তবে কেউ কেউ নিজের আমলনামা নিয়ে শঙ্কিতও রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্ট আসনের কয়েকজন প্রবীণ ভোটাররা জানান, জনগণের সাথে যার সম্পর্ক আছে। দলীয় কর্মকান্ডে যার অবদান রয়েছে তাকে প্রার্থী করলে ভোটারদের মাঝে স্বস্তি আসবে। কয়েকজন নতুন ভোটার জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক বিদ্যমান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তেমন প্রার্থী তারা আশা করেন।

পাঠকের মতামত: