শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ২৮ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে লড়াই করবেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন ২৫ জন, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন নারীসহ ৩ জন। কক্সবাজার জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনে ২৮ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রতীক পাওয়ার পর সোমবার বিকাল থেকে স্ব স্ব নির্বাচন এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। কক্সবাজার ৪টি সংসদীয় আসনে জাপার প্রার্থী রয়েছে। তিনটি আসনে রয়েছে বিএনপি প্রার্থী। এই চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে ভাগ বসাতে চায় জাতীয় পার্টিও প্রার্থী।
বিগত ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ভোটার ছিলেন ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৩১০ জন। এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮২ জন। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৯ হাজার ৪৯৭ জন পুরুষ ও ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৫ জন নারী। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ভোট হয়েছে শুধুমাত্র উখিয়া-টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসনে। অন্য তিন আসনে তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সেবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনটি স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই বিএনপি ও জামায়াতের দখলে। আসনটিতে বিএনপি-জামায়াতের জয়ের ইতিহাস ভাঙতে একাট্টা আওয়ামী লীগ কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।
তারা চায় তাদের হারানো আসনটি ফিরে পেতে। এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টিও জেলা সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ। এ আসনে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামীলীগ তথা সরকার দলীয় প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম (নৌকা), বিএনপির সালাহ উদ্দীন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টিও বর্তমান সাংসদ মো. ইলিয়াছ (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কস পার্টির আবু মো. বশিরুল আলম (হাতুড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আলী আছগর (হাতপাখা), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. ফয়সাল (হারিকেন), স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউল আলম (সিংহ) ও স্বতস্ত্র প্রার্থী (আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের কন্যা) তানিয়া আফরিন (মটর গাড়ি)।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ২০০৮ সালে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ জন। বর্তমানে এ আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮২৯ জন। সে হিসেবে এবার ভোটার বেড়েছে ৭৮ হাজার ৯৭৯ জন। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী এড.হাসিনা আহমেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৪০১ ভোটের ব্যবধানে। তখন হাসিনা আহমেদ পান এক লাখ ৫৬ হাজার ৫১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দিন আহমেদ পান এক লাখ ২১ হাজার ১১ ভোট। ২০১৪ সালে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
প্রকাশ:
২০১৮-১২-১১ ০৯:১০:৪৪
আপডেট:২০১৮-১২-১১ ০৯:১০:৪৪
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়ায় আওয়ামিললীগ ক্যাডার নজরুল সিণ্ডিকেটের দখলে ৩০ একর বনভুমি:
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- ঈদগাঁও’র নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
পাঠকের মতামত: