আব্দুল মালেক, কক্সবাজার :
“প্রিয় মুখের ভীড়ে প্রানের উচ্ছ্বাসে ”
শিরোনামে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ঈদের ৪র্থ দিন কক্সবাজার রয়েল বীচ রিসোর্ট হল রুমে কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ‘প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী’১৮ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় দুইশত পচিশ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের প্রাক্তন ছাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অাইন বিভাগে পড়ুয়া মনির আলম ও কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংলিশ বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ফিরুজ খাঁন এবং জিনিয়া কামালের যৌথ উপস্থাপনায় সকাল ১০ ঘটিকায় প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম খন্দকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া মডেল পলিটেকনিকেল ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল শওকত আলম, হার্ভার্ড কলেজের বাংলা লেকচারার সিরাজুল ইসলাম, লেকচারার বাইতুর রহিমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সে সময় কলেজের পুরনো দিনগুলির কথা মনে করিয়ে স্মৃতিচারণায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী আজমত হুদা, মহি উদ্দিন, বুরহান বাঙ্গালি, শফিকুর রহমান, সাজেদা আক্তার, সৈয়দ মোস্তফা মিজান,আব্দুল আলিম, ফিরুজ খাঁন,ইব্রাহীম রাফাত, জিনিয়া কামাল, রাশেদুল ইসলাম মুন্না,ছামিরা আক্তার, মারিফিন জাহান রশিদ, শফিকুল ইসলাম সবুজ, জাহেদুল ইসলাম জাহেদ, কাসেফ উল্লাহসহ অনেকেই প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসে ফেলে আসা পুরনো দিনগুলি মনে করিয়ে দেন তাদের স্মৃতিচারণ বক্তব্যে।
কলেজ ক্যাম্পাসে ফেলে আসা দিনগুলি আবার মনে করিয়ে দেয় এই পুনর্মিলন।
দিনটিকে ঘিরে প্রকাশিত হয় “বন্ধন”
দুপুর সাড়ে বারোটায় প্রধান অতিথি জনাব শফিউল আলম খন্দকার “বন্ধন” ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজ আজ অনেক বড় একটি পরিবার। আজকের এতো সুন্দর মনোমুগ্ধকর আয়োজন তারই প্রমাণ। তোমরাই কলেজের প্রতিনিধিত্ব করছো। কলেজের সুনাম আজকে শুধু কক্সবাজার জুড়ে নই পুরো দেশজুড়ে তোমরাই পরিচিত করেছ। এতো সুন্দর আয়োজনে আমরা শিক্ষক পরিচালক সবাই মুগ্ধ। আমাদের এই বন্ধন যেন হৃদয়ের বন্ধনে পরিনত হয়। এসময় আগামী বছর কলেজের ১ যুগ ফুর্তির আয়োজন করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এমটাই জানালেন প্রধান অতিথি।
“বন্ধন” ম্যাগাজিন সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা মিজানের দু-কলম লিখা–
সময় চলে যায়, থেকে যায় স্মৃতি। আর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রয়োজন হয় স্থিরচিত্র, চলচিত্ত বা কোনো প্রকাশনার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে “বন্ধন”।
বন্ধন সত্যিকারের বন্ধন হয়ে থাকবে সকলের মাঝে। পুরনো সহপাঠী, শ্রদ্ধাস্পদ বড় ভাই বা অপার স্নেহের ছোটদের আমরা খুঁজে পাবো বন্ধনের পাতায়। পেয়ে যাব তাদের সাথে যোগাযোগের যুগসেরা মাধ্যম মুঠোফোন নাম্বার। তারপর মেতে উঠবো খুনসুটিয়ে মিটাবো পুরনো মান অভিমান।
কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজ প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে প্রথম পুনর্মিলিনী।২০০৮ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম মিলিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রত্যাশা রাখি আগামী দিনে ধারাবাহিকতা পাবে এই মহতী উদ্যোগে। প্রতি বছর এরকম অনুষ্ঠানের অায়োজন করা গেলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। কলেজের অনেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। আমরা তাদের জন্য গর্বিত। অনেকেই জাগতিক নিয়মে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। আমরা তাদের বিদেহী আত্মারর মাগফেরাত কামনা করি।
বন্ধন প্রকাশ এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে তাদের সকলের প্রতি রইলো আমাদের কতৃজ্ঞতা।
ম্যাগাজিনের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।সর্বপরি, ‘বন্ধন’ হয়ে উঠুক কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক বন্ধনের সৃতিকাগার।
পাঠকের মতামত: