ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীতে বক্তারা: অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরীর অবদান কক্সবাজারের মানুষ ভুলতে পারবে না

বার্তা পরিবেশক :: কক্সবাজার সরকারি কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরীর বিভিন্ন অবদান কক্সবাজারের জনগণ কোনোদিন ভুলতে পারবে না। বিশেষ করে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জমি অবৈধদখলকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য কক্সবাজার কলেজের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। কক্সবাজার কলেজের প্রায় চার হাজার ফুট দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, কক্সবাজারে উচ্চ শিক্ষার প্রবর্তন তাঁরই সফল কর্মপ্রচেষ্টার ফসল।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উপদেষ্ঠা, একাডেমীর সহযাত্রী ও পৃষ্ঠপোষক অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী সরকারি কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণ উপলক্ষে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী আয়োজিত সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর আয়োজনে ২৭ জুলাই সোমবার সকালে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অন্যতম শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, সংগঠক বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, দেশের যেখানে উন্নয়ন সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট। কিন্তু কক্সবাজার সরকারি কলেজে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হলেও দুর্নীতির কোনো তথ্য নেই। এটাই প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরীর বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব।

বক্তাগণ বলেন, কক্সবাজারের শিক্ষার্র্থীগণ উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে চাইলে তাকে দীর্ঘ ১৬০ কিলেমিটারি দূরে চট্টগ্রাম শহরেই গিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ বা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হতো। কিন্তু এখন কক্সবাজারে থেকেই একজন শিক্ষার্থী তার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারছে, এটা কম কথা নয়। এটা প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরীর অবদান।

বক্তাগণ বলেন, প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী কক্সবজারের বাইরের মানুষ হয়েও কক্সবাজার কলেজের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। কিন্তু কক্সবাজারের কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি কক্সবাজার কলেজের সম্পদ লোপাট করতে চেয়েছেন।

একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ছড়াকার জহির ইসলাম কুরআন করিম থেকে তেলাওয়াত করলে অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

একাডেমীর সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধার শিক্ষক ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের বক্তব্য পেশ করেন একাডেমীর জীবন সদস্য প্রবীন আইনজীবী শামসুল আলম কুতুবী, কক্সবাজার সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের সদস্য, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবি দিলওয়ার চৌধুরী, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর জীবন সদস্য, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রকৌশলী বদিউল আলম, কক্সবাজার সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কান্তি পাল, কক্সবাজার সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কাসেম ও কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ছড়াকার ও শিল্পী নূরুল আলম হেলালী।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ছড়াকার ও শিল্পী নূরুল আলম হেলালী অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে এক ভিন্ন রকম আবহ সৃষ্টি করেন।

পরে প্রধান অতিথি প্রফেসর ফজলুল করিম চেধৈুরীর হাতে সম্মাননা স্মারক হস্তান্তর করেন।

পাঠকের মতামত: