ঢাকা,রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার বিমান বন্দর অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার দাবি সচেতন মহলের

অনলাইন ডেস্ক ::

বাঙ্গালী জাতির অহংকারের শিরস্ত্রান,ইতিহাসের মহীরুহ,বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রশ্নাভীত অভিভাবক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরাধিকারী মানবতার নেত্রী উত্তীর্ণ রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কক্সবাজার শহরের উদ্বিগ্ন মানুষের পক্ষ থেকে সন্নত শ্রদ্ধাসহ আকুল আবেদন
মাননীয় নেত্রী ,
মানুষের প্রতি ভালোবাসার সমুদ্রসম বিশাল হ্নদয়ের অধিকারি,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহিমান্বিত জীবনের প্রোজ্জ্বল আলোয় সমৃদ্ধ ও সফল আপনার জীবন।বাঙ্গালী মায়ের শ্বাশত মমতা আপনার প্রাণের প্রকৌষ্ঠে প্রোথিত।দুর্দশাগ্রস্থত মানুষের নেতৃত্বে থেকে মানুষকে বঞ্চনামুক্ত করার সংগ্রাম আপনার আজন্ম সাধনা।এই জ্বলজ্বলে সত্যের ভরসায় কক্সবাজারের মানুষ আপনার সহদেয়র বিবেচনার কাছে বিনীত আবেদন করছে যে,কক্সবাজিার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও কক্সবাজার বিমান ঘাঁটি এই জেলারই অভ্যন্তরে(যেহেতেু আমরা জানি যে এগুলো কক্সবাজারে হওয়া বাঞ্চনীয়) আরও সুপরিসর যথোপযুক্ত কোন স্থানে নির্মান করার কথা অতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক।আপনার প্রতি আস্থায় অবিচল কক্সবাজারের মানুষের ধারনা শহরের অভ্যন্তরে (বর্তমান স্থানে) অপরিসর স্থানে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর ও বিমান ঘাটিঁ নির্মিত হলে শব্দ,আলো ও কম্পনের ফলে শহরবাসী বিশেষ করে সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী শিশুদের উপর খাপার প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।পর্যটন ঘনিষ্ট অনেক তৎপরতার জন্য উপযোগি সমুদৃ তটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের পর্যটন খাতে ব্যবহার রুদ্ধ হয়ে যাবে।বর্তমান অবস্থানটিকে সুপরিসর করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত জমি এখানে নেই।তাছাড়া সমুদ্রের জলধারার নিকটে এরকম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আদৌ ঝুঁকিমুক্ত কিনা ভেবে দেখা দরকার।

বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আপদকালীন প্রয়োজনে তড়িঘড়ি করে নির্মিত পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর,উত্তরে সোনাদিয়া চ্যানেল,পূর্বে বাঁকখালী নদী বেষ্টিত এই বিমান বন্দর।আমরা শুনেছি সোনাদিয়া চ্যানেলের কিয়দংশ ভরাট করে অথবা পানির মধ্যে পিলার গেঁড়ে তার উপর সøাব নির্মান করে সেখানে রানওয়ে নির্মান করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।সেটা করা হলে কুতুবজোম সোনাদিয়াতে যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হবার আশংকা আছে তাতে করে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মানে নতুন কোন জটিলা তৈরি হয় কিনা সেটা পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
সমস্ত বিষয় পুর্নবিবেচনা করে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও কক্সবাজার বিমান ঘাঁটি খুরুশকুলে অথবা রামু থানার চেইন্দা এলাকায় অথবা চকরিয়া পাহাশিয়াভালী অথবা জেলার অন্য কোন স্থানে নির্মান করা যায় কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।উল্লেখ্য যে এই সব স্থানের প্রত্যেকটি চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প বা রামু ক্যান্টনমেন্টের নিকটবর্তী।তাতে করে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন সৈকতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশষ পর্যটনের কাজে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।উপরুন্ত বিয়াম স্কুল,কক্সবাজার ডায়াবেটিক হাসপাতাল,কক্সবাজার শিশু একাডেমি,কক্সবাজার শিল্পকলা একাডেমি,জেলে পার্ক(কক্সবাজারের ছেলে মেয়েদের একমাত্র খেলাধুলার জন্য অন্যতম স্থান) এবং কক্সবাজার শিশুবান্ধব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অতি বিশ্বস্থ জেলা প্রশাসনের শুরু করা ”শেখ রাসেল শিশু পার্ক”বাহারছড়া হাই স্কুল,মুক্তিযুদ্ধের জ্বলন্ত স্মৃতিবাহক বধ্যভ’মি ইত্যাদি আমাদের প্রাণের ধন রক্ষা করা সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের জন চিত্তকে ভারাক্রান্ত করা সমস্ত উদ্বেগ উৎকন্ঠা দূরীভ’ত হবে।
সবশেষে আমাদের দৃঢ় চিত্ত ঘোষনা সবদিক বিবেচনা করে আপনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন আমরা সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অকুন্ঠ অনুগত থেকে আমরা আপনার নেতৃত্ব অতীতের মতো সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
কক্সবাজারের সর্ব জনসাধারণের অনুরোধে তাদের পক্ষে
১/সাবেক কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আবছার।
২/ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী।
৩/ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলার সাবেক কমান্ডার মো:শাহজাহান।
৪/বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন।
৫/ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ।
৬/কক্সবাজার সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম এর সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী।
৭/কক্সবাজার সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা।
৮/ দৈনিক সমুদ্রকন্ঠের সম্পাদক,কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মঈনুল হাসান চৌধুরী পলাশ।

৯/দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মো:রাশেদ।
১০/ কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার আলী আকবর।

পাঠকের মতামত: