এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ১০ জুলাই ॥
কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর অভ্যন্তরে কার পাকিংয়ে জেলা জজচীফের একজন বিচারকের গাড়ী চালক থেকে চাঁদাবাজি কালে মোঃ রিগেন নামের এক চাঁদাবাজকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১২টায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসির নের্তৃত্বে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে। আটক রিগেন বর্তমানে থানা হাজতে রয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কারপাকিং পতি বছর বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ইজারা দিয়ে আসছিল। বরাবরের মতো গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে কারপাকিং (১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়) ইজারা নেন বিমান বন্দরের সাবেক কর্মচারী (রেডিওক্লিনার) আবুল হাশেম। সরকারী নিয়ম কানুন না মেনে আবুল হাশেমের ছেলে মেঃ রিগেন দীর্ঘদিন ধরে পাকিংয়ে বিভিন্ন ভিআইপিসহ পর্যটকবাহি যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসছিল।
বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ওই আবুল হাশেমের ইজারা মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর পরেও অবৈধভাবে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করেনি।
এদিকে, রোববার বেলা ১২টার দিকে ওই মোঃ রিগেন কক্সবাজার জেলা জজচীফের একজন বিচারকের গাড়ী চালক থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। এনিয়ে জেলা জজচীফের গাড়ী চালক ও চাঁদাবাজ রিগেনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিগেনকে আটক করেন। বর্তমানে চাঁদাবাজ রিগেনকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন ওই রিগেনকে আটকের ঘটনার নিশ্চিত করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের একটি সুত্র জানিয়েছেন, কারপাকিং ইজারাদার আবুল হাশেম বিমানবন্দরের সাবেক কর্মচারী (রেডিও ক্লিনার)। তিনি গতবছরে এলপিআরএ যান।
বিমান বন্দরে রেডিও ক্লিনার পদে চাকুরীকালিন সময় বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন ভুমি দেখাশুনা ছাড়াও বন্দরের ভুমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা দেখাশুনা করতেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরের ভুমি দখলকারীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের পক্ষ নেয়ায় বেশ কিছু মামলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ হেরে যান। রায় চলে যায় ভুমিদখলবাজদের পক্ষে। এনিয়ে খোদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মাঝে তোলপাড় চলে। এধরনের সৃর্নিদিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল হাশেমের( এলপিআর) পেনশন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, বিমান বন্দরের কারপাকিংয়ে সিন্ডিকেট করে টমটম, নোয়া, মাইক্রোবাস, সিএনজির চালকদের সাথে আতাঁত করে বিমানযাত্রী ও পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত: