ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা পরিষদের আয়োজনে বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের গরীব পরিবার পেলেন খাদ্যসামগ্রী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  করোনা সংক্রমণের প্রভাবে জীবিকা হারানো চকরিয়া উপজেলার দুর্গম জনপদ বুমবিলছড়ি ইউনিয়নের দুইশত পরিবারের নারী-পুরুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক সোলতান আহমদ। বুধবার ২২ এপ্রিল বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারের নারী-পুরুষের মাঝে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দ এবং জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জীবিকা হারানো দুইশত পরিবারকে দুর্যোগ-দুর্দিনে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক সোলতান আহমদ। বিতরণ কার্যসূতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি অধ্যাপক সোলতান আহমদ। এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বমু বিলছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আ,লীগের সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ,লীগের সহ- সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মেম্বার,ইউনিয়ন আ,লীগ নেতা মোজাফ্ফর আহমদ,মোঃ নাজমুল হুদা, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান,ইউপি মেম্বার আহমদ মিয়া,আজিজুর রহমান,১ নং ওয়ার্ড আ,লীগের সম্পাদক মোঃ ফরিদ, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, পরিষদের সকল সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ বলেন,করোনা ভাইরাস’ সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার তথা চকরিয়াবাসীকে খাদ্য সহায়তা ও জনসচেতনতা করার লক্ষ্যে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ। এর অংশ হিসেবে বমু বিলছড়ি ইউনিয়নেও আজ খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। আমাদের এ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা অনুসারে আগামীতেও চলমান থাকবে।

পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সহজ হবে। বাড়িতে অবস্থান করা, লকডাউন মেনে চলা,ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিবেন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না।’

আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন ও সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়।’ ‘সব সময় খেয়াল রাখুন আপনি, আপনার পরিবারের সদস্য এবং আপনার প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হন। আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।##

পাঠকের মতামত: