:: এম. আর. মাহমুদ :: কক্সবাজার জেলার বাসিন্দারা এই জেলায় জন্মগ্রহণ করে যেন অপরাধ করছে। যদিও জন্ম গ্রহনের ক্ষেত্রে ফায়সালার মালিক এক মাত্র আল্লাহ। কক্সবাজার জেলাবাসী ইচ্ছে করে এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেনি। দুঃখের সাথে বলতে হয় এ জলোর স্থায়ী বাসিন্দারা বড় বিপদে। বিপদ যেন কোন ভাবেই ছাড়ছেনা। ছাড়ার লক্ষন ও দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ ২২ মাস ধরে এ জেলার ৮টি উপজেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন কার্য্যক্রম শুরুর কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে এদেশের উগ্রবৌদ্ধ ও সামরিক জান্তর-নির্যাতনে সে দেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের সহায় সম্পদ ফেলে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। মানবিক কারনে আমাদের সরকার ১০/১১ লাখ রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুদের এ জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় দিয়েছে। সে সময় পালিয়ে আসা বিনদেশী নাগরিকেরা এদেশের নাগরিক হিসেবে জন্ম নিবদ্ধন করার আশঙ্কায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলার জন্ম নিবন্ধন কার্য্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এদিকে ২২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও জন্ম নিবন্ধন কার্য্যক্রম আর চালু হয় নি। ফলে এ জেলার ৮ উপজেলার স্থানীয় বসিন্দারা প্রতিদিন কোন না কোন কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ইতি মধ্যে জেলার কোন কোন ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর কাজ শুরু হয়েছে সে ক্ষেত্রে নতুন ভোটার হতে হলে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে পারছে না। কক্সবাজার জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রশ্ন রোহিঙ্গা সংকটের জন্য কি এ জেলাবাসী দায়ী? কথা প্রসঙ্গে প্রবীণ এক ব্যক্তি হঠাৎ করে বলে বসলেন ‘এ জেলার লোকজন যেন মদননগরে বাস করছে’ মদননগরের গল্পটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের নাম মদননগর গাধা-ঘোড়া, গরু-ছাগল, স্বর্ণ-রূপা, বাসমতি চাল, মোটা চাল, তেল-ঘি একই দর। তবে মদননগরে চোর চুরি করতে গিয়ে মালিক জেগে গেলে মালিকের ফাঁসি হয়। মনে হয় কক্সবাজারবাসী গল্পের কথিত মদননগরে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে যদি ২২ মাস জন্ম নিবন্ধন বন্ধ থাকে, তাহলে কি রোহিঙ্গারা যত দিন এদেশে বসবাস করবে ততদিন জেলাবাসীর জন্ম নিবন্ধন বন্ধ থাকবে। আজব দেষ ‘দোষ কার শাস্তি হচ্ছে কার’ এসব বুঝে আসছেনা। জন্ম নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে ঠিকই কিন্তু রোহিঙ্গারা প্রতিদিন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম দিকে অসহায় রোহিঙ্গাদের স্থানীয় বাসিন্দারা যথেষ্ট সহায়তা করেছে। এখন কিন্তু রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের নানাভাবে ক্ষতি করছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নানা অপকর্মে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ও অসহায়। শুধু মাত্র রোহিঙ্গা আগমণের কারনে ২২ মাস ধরে এ জেলার জন্ম নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে। কি জানি আরও কতদিন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এরই নাম কি মানবতার খেসারত? বিজ্ঞদের অভিমত মিয়ানমারের আরকান থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা পুনরায় নিজ জন্মস্থানে ফিরবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে? সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও এখন তাড়িয়ে দিতে পারছেনা। পারছেনা ঘিলতে, পারছেনা ফেলতে। তবে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। তবে লক্ষণ ভালো দেখা যাচ্ছে না। অনেকের মতে গাভীর দুধ বের করা যায়, পুনরায় দুধের বাটে ঢুকিয়ে দেয়া যায় না। এসব আষাঢ়ে গল্প বলে লাভ নেই। আসল কথা হচ্ছে জেলার প্রকৃত বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধন অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাষ্ট্রের উচ্চ মহলে হস্তক্ষেপ কামনা করছে জেলাবাসী। এখানে একটি গল্পের অবতারণা করে লেখাটির ইতি টানতে যাচ্ছি। গল্পটি হচ্ছে এক বয়স্ক ভদ্রলোক থলে নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল, তিন রাস্তার মাথায় গিয়ে দেখতে পেল ছোট ছেলে-মেয়েরা কিছু খড়কোড়া যোগাড় করে সেখানে আগুন দিয়েছে। আগুন জলতে লাগল এসময় একটি বিষাক্ত সাপ ওই রাস্তা দিয়ে সরপিল গতিতে যাচ্ছিল বয়স্ক ভদ্রলোক সাপকে বলে বসল রাস্তায় আগুন জ্বলছে তুমি ওদিকে যেওনা; সাপ বলল, আমাকে আশ্রয় দাও। তখন বয়স্ক ভদ্রলোকটি বাজারের ওই থলেতে সাপটিকে ঢুকে যেতে বলল সাপ থলেতে আশ্রয় নিল পরে আগুন নিভে যাওয়ার পর বয়স্ক লোকটি সাপকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে থাকল। এক পর্যায়ে সাপ বলে বসল আমি তোমাকে কামড়াবো বয়স্ক লোকটি বলল আমি তোমার উপকার করেছি আমাকে কামড়াবে কেন? এ সময় সাপ বলে বসল দু’জনই হাটতে থাকি। প্রথম যে তিনজন পাবো তাদের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে বিষয়টির ফায়সালা চাইব। সাপ ও বয়স্ক ভদ্রলোক প্রথমে পেল একটি বুড়ো গাভী, গাভীর কাছে বিষয়টি বলল গাভী বলল তোমাকে কামড়ানো উচিত তখন ভদ্রলোক জানতে চাইলেন কারণ কি? গাভীরা সারা জীবন মানুষকে দুধ দেয়, গরু নিয়ে চাষ করে, বুড়ো বয়সে মরতে দেয় না জবাই করে খায়। এজন্য তোমাকে কামড়ানো উচিত। এরপর পেল একটি বটগাছের নিকট, বটগাছকে বলার পর বটগাছ বলল, একই কথা। জানতে চাইল কারন কি বটগাছ বলল রোদ-বৃদ্ধি সময় মানুষ বটগাছের নিচে আশ্রয় নেয় আর আমার শিকড়গুলো কেটে ফেলে। মানুষ অকৃতজ্ঞ। সে কারণে সাপের কথা যুক্তিসঙ্গত বয়স্ক লোকটি হতাশ হয়ে পড়লেন এসময় পেয়ে গেল একটি শিয়াল, শিয়ালকে বিষয়টি বলার পর শিয়াল বলল, এত বড় সাপ বাজারের থলেতে ঢুকল কিভাবে সাপ বলে বসল দেখ কিভাবে ঢুকেছি। সাপটি বাজারের থলেতে ঢুকার পর পরই চতুর শিয়াল বলল বিষাক্ত সাপকে বাঁচিয়ে লাভ কি? এখনই সাপটি পিঠিয়ে মের ফেল। শিয়ালের পরামর্শে উপকারী বয়স্ক লোকটি প্রাণে বাঁচল।
প্রকাশ:
২০১৯-০৬-১৭ ১২:২৪:৩৯
আপডেট:২০১৯-০৬-১৭ ১২:২৪:৩৯
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় সমিতির নামে অসহায় পরিবারের দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাঠকের মতামত: