কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন হোটেল ও শহরের কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে জমজমাট পতিতা ব্যবসা। থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পতিতা ও দালালদের আটক করেলেও কিছুতেই থামছে না এই পতিতা ব্যবসা। বিশেষ করে শহরের এন্ডারসন রোড়ের পাচঁতারাহোটেল,আহসান বোড়িং,সাতকানিয়া বোড়িং, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রাজমনি হোটেল,ঝাউতলা রোড়ের হোটেল সী-কুইন প্রা: লি: ও কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে রাত-দিন চলছে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। দু’ সিফটে ভাগ করে এসব হোটেল গুলিতে চলে পতিতা ব্যবসা। দিনে চলে রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী দেহ ব্যবসা আর রাত্রে চলে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের সিরিয়াল ভিত্তিক পতিতা ব্যবসা। ফলে ধংসের পথে ধাবিত হচ্ছে আগামী প্রজম্মের তরুণ ও যুব সমাজ। সচেতন মহলের মতে,পুলিশ,র্যবসহ আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসব হোটেল, কটেজ ও গেষ্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে খদ্দরসহ পতিতা ও দালালদের গ্রেফতার করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বে নিয়োজিত ম্যনেজারদের আটক না করায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব পতিতা ব্যবসা। পতিতাদের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী,বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় কর্মরত মহিলা,স্বামী প্রবাসি গৃহবধুসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের উঠতি বয়সের তরুণীরা।
আইনর্শৃংখলাবাহিনী সূত্রে জানা যায়,আবাসিক হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী হোটেল কর্তৃপক্ষকে যে কোন ব্যক্তি (পুরুষ-মহিলা) হোটেলে রুম বুকিং করার সময় হোটেল রেজিষ্টারে বোর্ডারদের নাম,পিতা/স্বামীর নাম ও সঠিক ঠিকানাসহ তাদের সই লিপিবদ্ধ করে তাদের নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে রুম বুকিং করা বোর্ডারদের ছবি তোলার নিয়ম থাকলেও পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলায় এসব নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। রাজধানী ঢাকা,চট্রগ্রামসহ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ম পালন করা বাধ্যতামুলক হলেও কি কারণে এবং কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এসব নিয়ম মানা হচ্ছেনা তা সচেতন মহল ও অভিজ্ঞ মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
না প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন হোটেলে দায়িত্বরত একাধিক ম্যনেজারগণ জানান,হোটেল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ পতিতা ব্যবসা চালিয়ে আসছে র্দীঘ দিন ধরে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম অত্যাচার ও নির্যাতন করে চাকুরীচ্যুত করে। ফলে চাকুরী হারার ভয়ে অধিকাংশ হোটেলের ম্যানেজারগন এর প্রতিবাদ করে না। সুত্র প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত হোটেল,গেষ্ট হাউস ও কটেজগুলিতে মাদকের পাশপাশি পতিতার হাট বসিয়ে আসছিল। উক্ত অপকর্মের হাটে নেতৃত্বে দিয়ে আসছে শহরের চিহ্নিত মাদক ও পতিতা ব্যবসায়ীরা। তাদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে হোটেল কর্তৃপক্ষের নির্যাতনসহ বিভিন্ন রকম হয়রানি।
বিভিন্ন পতিতা ব্যবসায়ী ও দালালরা ঢাকা,কুমিল্লা,চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে উঠতি বয়সের তরুণীদের সংগ্রহ করে তাদের সাথে আতাত হওয়া পর্যটন নগরী কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত হোটেলগুলিতে পতিতা সরবরাহ করে থাকে অনেক সময় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুম নিয়ে রাত্রে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের বিভিন্ন রুমে মোটা টাকার বিনিময়ে এসব তরুনীদের ঘন্টা ও সারা রাত্রের জন্য ভাড়া দেয়। আর এসব দালালদের সাথে হোটেল কর্তৃপক্ষের রয়েছে গোপন আতাত। ঢাকা থেকে আসা করিম নামের এক দালাল জানান,আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের গ্রীণ সিগনাল পেলে তার পর আমরা এসব হোটেলে পতিতা নিয়ে আসি এবং সরবরাহ করে থাকি। তবে পতিতাদের উপার্জিত সিংহ ভাগ টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি পুলিশ শহরের এন্ডারসন রোড়ের পাচঁতারাহোটেল,আহসান বোড়িং,সাতকানিয়া বোড়িং, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রাজমনি হোটেল এবং কলাতলীস্থ সাগর বিলাস ও আল-কক্স কটেজে এ অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক পতিতা,দালাল ও খদ্দর আটক করেছে।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চেীধুরী বলেন,অচিরেই তালিকাভুক্ত এসব হোটেল,গেষ্ট হাউস ও কটেজে অভিযান চালানো হবে তিনি জানান।
সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার শহরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে তালিকাভুক্ত এসব হোটেল,গেষ্ট হাউস ও কটেজে তড়িৎ গতিতে অভিযান পরিচালনা করে এসব হোটেল,গেষ্ট হাউস ও কটেজের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়েছে কক্সবাজার জেলার জনসাধারন।
পাঠকের মতামত: