মনির আহমদ, চকরিয়া :: কক্সবাজারের ৬ উপজেলায় লবণ উৎপাদন হচ্ছে। এসব উপজেলার ১২টি বিসিক অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৬ হাজার ৫শ ৯৬ একর জমি থেকে বাংলাদেশের চাহিদার চেয়েও বেশী লবণ উৎপাদিত হবে। বিসিক এর দাবী এ বছর ১৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলেও চাহিদা রয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিকটন। তবে মাঠপর্যায়ে লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অন্যান্য বছরের চেয়ে লবণ চাষ কমে গেলেও চাহিদা পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করেন কক্সবাজার বিসিক অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মোঃ হাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি দরবেশকাটা বিসিক অফিসে সিটিএন এর সাথে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন এজিএম হাফিজুর। তিনি জানান, গেল বছর লবণ মৌসমে ৬ হাজার ৫শ ৯৬ একর ভূমি থেকে উৎপাদিত লবণ বিক্রির পর এখনো বেশ পরিমাণ অবিকৃত লবণ মজুদ রয়েছে। চলতি মৌসুমের ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এবং গত বছরের অবিকৃত লবণ সহ বর্তমানে মাঠে মজুদ রয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩ শ ৯৩ হাজার মেট্রিকটন। কিন্ত লবণ চাষীরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লবণ চাষের প্রতি চাষীরা অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এদিকে বিক্রয় মূল্যে উৎপাদন ব্যয় উঠে না আসায় এবং কয়লাবিদ্যুতের অধিগ্রহিত এলাকায় জমি হারানোয় লবণের মাঠ ছেড়ছেন কক্সবাজারের অনেক লবণচাষী।
এ ছাড়াও বিদেশ থেকে ক্যামিকেল আইটেমের নামে গোপনে সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাবার লবণ) আমদানি করায় চাষের লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন লবণ সংশ্লিষ্টরা। এতে দিন দিন লবণ উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লবণ চাষের প্রতি চাষীদের আগ্রহ থাকার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে মাঠপর্যায়ে চাষীদের কাছ থেকে সরকার ন্যায্যমূল্যে লবণ ক্রয়, লবণ চাষীদের ঋণ দেয়া সহ ৪টি বিষয়ের সুপারিশ সম্বলিত একটি আবেদন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার জেলায় নিবন্ধনকৃত ৮০টি লবণ মিল থাকলেও বিভিন্ন দৈন্য দশার কারণে বর্তমানে চালু রয়েছে ৬২টি। তবে যে পরিমান লবন মজুদ আছে এবং উৎপাদন হচ্ছে তাতে বিদেশ থেকে লবন আমদানীর কোন প্রয়োজন নাই বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: