ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় হামুন :

কক্সবাজারে প্রাণহানি ৩, বিধ্বস্ত ৪২ হাজার ৯৫৯ বাড়িঘর

অনলাইন ডেস্ক :: কক্সবাজার ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে অচল হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে সড়ক ও উপসড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ যানবাহন চলাচল। গত মঙ্গলবার দেওয়াল ও গাছ চাপায় প্রাণ গেছে ৩ জনের।

নিহতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে বলা হয়, জেলায় ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সম্পূর্ন বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৪৯টি। অন্যদিকে হামুনের তান্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে, বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। এছাড়া ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে বিবরনীতে উল্লেখ করা হয়।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানে। এতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়েছে ১৫টির বেশি গাছ। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে বৈদ্যুতিক তার। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো শহর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে উপড়ে পড়েছে বিশাল আকৃতির গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়েছে সড়কে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে অন্তত ১৫ হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ঘর সাড়ে ৫ হাজার। অন্যান্যগুলো আংশিক। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৫০ পরিবারকে ঘর তৈরি করতে টিন ও টাকা দেয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্যদের দেয়া হবে। পৌরসভায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, নাজিরারটেক এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। জেলা শহর ছাড়াও উপজেলাগুলোতে সড়ক উপসড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুটি। বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক না থাকায় কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

কক্সবাজার অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের কাজ চলছে।

 

পাঠকের মতামত: