ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে নৌ-বাহিনী নির্মাণ করবে ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

baddচকরিয়া নিউজ ডেস্ক :::
কক্সবাজারে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ ও ৭১ নম্বর পোল্ডারের ২৪ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। এ প্রকল্পের জন্য গত একনেকের বৈঠকে ৩৬৩ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলে সহসায় বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান। এদিকে একনেকে বেড়ীবাঁধের প্রকল্প চুড়ান্ত অনুমোদন হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জানান, বরাদ্দ পাওয়া ৩৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়া নির্মিত হবে সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ এবং ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে মাতারবাড়ি ধলঘাটার ৬ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ। এ ছাড়া ৭১ নং পোল্ডারের ১৩ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ নির্মাণে ব্যয় হবে ২০৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও বরাদ্দ কম হওয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল একনেকের বৈঠকে অর্থ বরাদ্দ ও অনুমোদন দেওয়ায় এখন নৌ-বাহিনীই কাজ করবে বেড়ীবাঁধের।
মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি’র অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এখন আমরা ভোগ করতে পারব। তিনি নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে কাজ করার জন্য তৎপর ছিলেন বিধায় সে আসা আমাদের পুরণ হয়েছে। এবার আমরা চাই কাজের দ্রুত বাস্তবায়ন।
ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বিগত সময়ে বেড়ীবাঁধের জন্য যা ব্যয় করা হয়েছে তার অধিকাংশই অপচয়। এখন নৌ-বাহিনী দায়িত্ব নিলে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হবে। অনেক দিন পরে হলেও সঠিক একটি সিদ্ধান্ত এসেছে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানিয়েছেন, এবার হয়তো আমরা একটি স্থায়ী বেড়ীবাঁধ পাব। নৌ-বাহিনী দায়িত্ব পাওয়ায় কোন অনিয়ম হবে না। এবার দ্রুত বাস্তবায়ন হউন সেটাই চায় স্থানীয় লোকজন।
কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিগত সময়ে যারা সাংসদ ছিলেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় বেড়ীবাঁধ নির্মিত হয়নি। বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক অনেক চেষ্টা করে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

পাঠকের মতামত: