ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে জাতীয় পর্যায়ের নবম গণিত এ্যাবাকাস প্রতিযোগীতা সম্পন্ন

wwwwশিশুদের মনোবিকাশ, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন ও পরিকল্পিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জাতীয় পর্যায়ের নবম গণিত এ্যাবাকাস প্রতিযোগীতা’।

শুক্রবার সকালে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার হোটেল সী প্যালেসের অডিটরিয়ামে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

এ্যাবাকাস লার্নিং অব হায়ার এরিথমেটিকস (এলোহা) বাংলাদেশ এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে।

এতে এলোহা বাংলাদেশ পরিচালিত ৩৬টি কেন্দ্রের ৯৫২ জন শিশু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগীতায় ২টি গ্রুপে ১৪টি স্তরে এসব শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে মাত্র ৫ মিনিটেই গণিতের উপর ৭০টি সমস্যার সমাধান করেন। বিজয়ী ১৪২ জন প্রতিযোগীর মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।

পরে বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এলোহা বাংলাদেশের চেয়ারমান মো. সাইফুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এলোহা ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা লহ মং সান। এতে বক্তব্য রাখেন এলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী ও পরিচালক মোহাম্মদ শামশুদ্দিন।

আলোচনা সভায় এলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল করিম বলেন, শিশুদের মনোবিকাশে গণিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণিতের সূত্র ও সমস্যাবলী অনুশীলনের মাধ্যমে মানবশিশুর চিন্তন ও অনুধাবনের জগতে আমূল পরিবর্তন ঘটে। মানুষের মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ ব্যবহার সম্ভব গণিতের যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহে রয়েছে গণিত শিক্ষার আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক একাধিক পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শিশুরা খেলার আনন্দ নিয়ে আত্মস্থ করে গণিতের জটিল নিয়ম-কানুন। ভয়ভীতি নয় বরং আনন্দময় বিনোদন সঙ্গী হিসেবে তারা আকর্ষণীয় ‘এ্যাবাকাস’ পদ্ধতি গ্রহণ করে।

পাঠকের মতামত: