নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারের সমুদ্র পাড়ের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন শুকনা ছড়িতে প্রশাসন একাডেমির নাম দিয়ে লীজ নেওয়া ৭০০ একর বনভূমির লীজ অবশেষে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
১১ অক্টোবর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মো.মুজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা’র অবকাশ কালীন ব্যাঞ্চ এই অদেশ দেন। একই সাথে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন সচিব, ভুমি সচিবের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে জবাব দিতে রুল নিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট।
প্রাপ্ততথ্য প্রকাশ প্রশাসন একাডেমির নাম দিয়ে সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি নানান তথ্য গোপন করে সম্প্রতি লীজ নেওয়া হয়। নামমাত্র টাকায় এ বিশাল সম্পদ লীজের বিষয়ে জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামসহ সচেতন মহল সোচ্চার হয়ে উঠে।
এছাড়াও স্থানীয় সচেতন বাসিন্দা, পেশাজীবি ও পরিবেশবাদি সংগঠনের চলে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি। এ অবস্থায় জেলা বাসির স্বার্থে কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম উচ্চ আদালতে রীট দায়ের করার উদ্যোগ নেন। এতে ককসবাজার নাগরিক ফোরামের পক্ষে প্রথিতযশা আইনজীবী এডভোকেট একে এম মনিরুজ্জামান কবির একটি রিট দাযের করেন। রিট নং ৭৬০১/২১। এই রীটের শুনানি শেষ গঠিত বেঞ্চের বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে উল্লেখিত আদেশ দেন।
এ আদেশ পাওয়ার পর কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন তাহার প্রতিক্রিয়ায় বলেন ককসবাজারের সম্পদ, জনগনের সম্পদ, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য ককসবাজারের মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সোচ্ছার। এই মাটির সন্তানেরা তাঁদের প্রিয় ভুমিকে খুব ভালোবাসে। ৭০০ একর রক্ষার জন্য যারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন গন সাক্ষর করেছেন সবাইকে নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আনম হেলাল উদদীন।
পাশাপাশি সঠিকতথ্য গোপন রেখে সরকারের যারা এই সংরক্ষিত বনভুমির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই লীজের বিষয় নিয়ে প্রতারনা করা হযেছে। সুস্পষ্ট ভাবে সত্য গোপন করা হয়েছে।বিসিএস প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমি করারা মত আরও অনেক জমি আছে। জাতীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করে এই একাডেমি করার কোন যৌক্তিক কতা নেই।
মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশ ককসবাজার বাসির এক ঐতিহাসিক বিজয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পাঠকের মতামত: