এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২৪ মে ॥
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও তৎসংলগ্ন ঘুর্ণিঝড় দূর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা এবং জরুরি সহায়তা দিচ্ছেন পাঁচ শতাধিক নৌ-সেনা সদস্যরা। সরকারের নির্দেশনায় এসব সদস্যরা মঙ্গলবার থেকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে চলেছেন। দূর্গত এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নৌ-বাহিনীর ত্রাণ বিতরণ ও জরুরী চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
২১ মে উপকুলীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নৌ-বাহিনীর ৬টি জাহাজ এবং হাই স্পিড বোটসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নৌ-সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে ২৩ মে (সোমবার) আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় জরুরী ভাবে ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এসব নৌ-সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ, কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলসহ গভীর সমুদ্রে নৌ-বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম ব্যাপক তল্লাশী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কুতুবদিয়া,মহেশখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নৌ-বাহিনীর একাধিক কন্টিনজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে । এসব সদস্যরা ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তাসহ নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ত্রাণ কার্যক্রমের মধ্যে ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, গুড়, লবণ, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নৌ-বাহিনীর জলযানযোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেওয়া হয়েছে । মঙ্গলবার থেকে ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মাঝে তা বিতরণের কার্যক্রম চলছে।
———————
পাঠকের মতামত: