বিদেশ ডেস্ক ::
ভারতের ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে অন্তত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপড়ে গেছে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। বেশ কিছু স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে অনেক ফ্লাইট ও ট্রেন সূচি।
বলা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী। এই ঝড়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাম ও ৫০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে।
ফণীর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে তিনজনের প্রাণহানির কথা বলা হলেও ওড়িশার স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।
এছাড়া পুরিতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ছিলো ভারী বৃষ্টি। বাতাসে উপড়ে গেছে বেশ কয়েকটি গাছ। ধ্বংস হয়ে গেছে একাধিক স্থাপনা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ওড়িশা থেকে এখন অন্ধ্রপ্রদেশের কাছাকাছি যাচ্ছে ফণী। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সেখানেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে ঝড়ো বাতাস। কর্মকর্তারা জানান, ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগ বাতাসে উপড়ে গেছে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদেনে বলা হচ্ছে, ফণীর গতিপথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টা শহর পড়বে। এছাড়া ফণীর কারণে শনিবার পর্যন্ত দেশটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২৩৩ টি ট্রেন। বাতিল করা হয়েছে অনেক ফ্লাইটও।
পাঠকের মতামত: