মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া সড়কের পেকুয়া উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্টান পেকুয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজ পয়েন্টে স্পীড ব্রেকার (গতি নিরোধক) না থাকায় দিন দিন সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে। ওই স্কুল পয়েন্টে একটি মসজিদ এবং সড়কের দুই পাশে কয়েকটি গ্রামে ঘন জনবসতি রয়েছে। সড়কের উভয় পাশের গ্রাম থেকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের সামনে অবস্থিত মসজিদে যাতায়াত করছেন। সেই সাথে মডেল স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, মডেল স্কুল পয়েন্টে স্পীড ব্রেকার না থাকায় গত এক বছরে প্রায় অর্ধশতাধিক সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দূর্ঘটনায় বহু লোক হতাহত হয়েছে। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অনেকে। গত কয়েক দিন পূর্বেও বিদ্যালয়ের সামনে এক ছাত্র সড়ক পার পাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি টমটম গাড়ি ওই ছাত্রকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই ছাত্র গুরুতর আহত হয় এবং টমটমটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
খোঁজ জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এবিসি সড়কের পেকুয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে দুইটি স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট সওজ কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। স্পীড বেকারের দাবিতে বেশ কয়েকবার এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলসহ মানববন্ধন সমাবেশও করেছিল। এরপরেও বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি সড়ক বিভাগ। বিদ্যালয়ের সামনে কক্সবাজার সড়ক বিভাগ কর্তৃক স্পীড ব্রেকার নির্মাণ না করায় দিন দিন দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পেকুয়া উপজেলা সদরের প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর পার্শ্বে পেকুয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজ অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। ওই বিদ্যালয়ে নার্সারী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। রাহাজানি পাড়া-শেখেরকিল্লা ঘোনা সড়কটি মডেল স্কুলের পাশ দিয়ে পশ্চিম পার্শ্বে এবিসি সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব পাশের আরো কয়েকটি গ্রামের সাথে লিংক সড়কটি এবিসি মহা-সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের উভয় পাশে জনবসতি এলাকার লোকজন ওই সড়ক দুইটি ব্যবহার করে যাতায়ত করছেন। বিদ্যালয়ের সামনে এবিসি মগাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভারী-হাল্কা যানবাহন খুব বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারনে স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও বিদ্যালয়ের ছুটির পর ও আগে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়েই সড়ক পার হতে হয়।
পেকুয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ কায়সার আক্ষেপের সুরে বলেন ‘ দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিদ্যালয়ের সামনে দুইটি স্পীড বেকার নির্মাণের; কিন্তু এখনো তাদের দাবি পূরণ হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে সড়কের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়াকে এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
পাঠকের মতামত: