ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

একজন এমপিকে তো চট করে ধরা যায় না : বদির বিষয়ে কাদের

নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। সারাদেশের মানুষ খুশি, তবে শুধু গাত্রদাহ কাদের? বিএনপির। কেন? তারা এতো চিৎকার চেঁচামেচি করছে কেন? কারণ, তাদেরও লোকজনও মাদকে জড়িত। আর মাদক ব্যবসায়ীরা যেভাবে সিন্ডিকেট করে অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করছে তাতে কি র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে?

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ আয়োজিত এক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকার এনকাউন্টার করছে, আতঙ্ক তৈরি করছে- বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী মনে করে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বিশ্বাস করে না। তবে মাদক নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের সঙ্গে অস্ত্রধারীরা আছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেলে তারা অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করছে। এখানে এনকাউন্টার হয়। অভিযানে উভয়পক্ষের হাতে অস্ত্র থাকছে। এই এনকাউন্টারকে তো আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলতে পারি না। ওরা অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করবে আর পুলিশ কি সেখানে জুঁই ফুলের গান গাইবে?

‘বিএনপিকে বলতে চাই, গত ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এই সময়ে শুধু বিএনপিসহ সব দলই তো আওয়ামী লীগকে বিষোদগার করে বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু কোনো দল কি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেছে? বলনি। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ঘোষণা দিয়েছেন।

কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু আব্দুর রহমান বদি কেন, আরও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরকারি দলের প্রভাবশালী কেউ যদি হয়ও, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশ, মাদক ব্যবসার সঙ্গে, ড্রাগ ডিলিংয়ের সঙ্গে যেই বা যারা জড়িত যতো প্রভাবশালী হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। এই অভিযানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে একজন এমপিকে তো চট করে ধরা যায় না। প্রমাণ করতে হবে তো?

গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে মাদক সেবনকারী থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হচ্ছেন। এ ছাড়া অভিযান শুরু পর প্রতি রাতেই কয়েকজন করে নিহত হচ্ছেন বন্দুকযুদ্ধে, বলা হচ্ছে যারা মাদক কারবারী।

এদিকে এই অভিযান নিয়ে কথা উঠেছে যে, মাদকের গডফাদাররা অভিযানের আওতামুক্ত থেকে যাবেন কি না।

কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, যার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ থাকলেও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আমি ইয়াবা বা অন্য কোনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছু মিডিয়াও ইয়াবা ব্যবসা করছে। সাংবাদিকরাও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি যখন মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেই, তখনই মিডিয়ারা সিন্ডিকেট করে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ কারণে সংসদে আমি চ্যালেঞ্জ করে বক্তব্য দিয়েছি।

পাঠকের মতামত: