ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়া সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসা ২০ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে

pic 2মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া :::

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে যুবসমাজ ধ্বংসকারী মরণ নেশা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা কিছুতেই থামছেনা। সীমান্ত ঘেষা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক, উখিয়া করইবনিয়া ডেইলপাড়া সড়ক, মেরিনড্রাইভ সড়ক ও সাগর পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার ইয়াবা পাচার হয়ে এ দেশে আসছে। এ ইয়াবা পাচার বন্ধ করতে জেলার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের তৈরি ইয়াবার বিস্তার বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শহরের অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বানিজ্যিক এলাকা সহ পাড়া মহল্লায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা। উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই এদেশে ঢুকছে লাখ লাখ পিচ ইয়াবার চালান। প্রায় সময় ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটলেও ইয়াবার চালান আসা বন্ধ হয়নি। বরং প্রায় প্রতিদিনই এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উখিয়া,টেকনাফ উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবা পাচারে নারী পুরুষ, রোহিঙ্গা যুবক,যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও জড়িয়ে পড়েছে। এ মরণ নেশা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রাতা রাতি কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন যারা উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড থেকে মাদকের কালো টাকার পাহাড় দিয়ে নির্বাচিত ইউপি সদস্য করইবনিয়া এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মাদক স্বর্গরাজ্যের অন্যতম গডফাদার আব্দুর রহিম প্রকাশ ইয়াবা রহিম, সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার ডেইল পাড়া এলাকার ছব্বির আহম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন, মাদকের কালো টাকার পাহাড় বিতরনে উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে আনুরুল ইসলাম প্রকাশঃ হুন্ডি আনোয়ার, করই বনিয়া এলাকার মৃত সোলতান আহম্মদের ছেলে জাগির হোসেন প্রকাশ ইয়াবা জাগির, পূর্ব ডিগলীয়া পালং এলাকার মোঃ কালুর ছেলে যুবদল নেতা শাহ জাহান খলিফা প্রকাশ ইয়াবা শাহ জাহান, একই এলাকার শাহ জাহান ডাকাত,মৃত বর্মাইয়া কালুর ছেলে চেয়ারম্যান, সোলতান আহম্মদের ছেলে সাহাব উদ্দিন প্রঃ শাহ আলম, ডেইল পাড়া এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে শামশুল আলম,মৃত আনুমিয়ার ছেলে আমির হোসেন, ডেইল পাড়া এলাকার অপরাধ জগতের কিং ফরিদ আলমের ছেলে জাফর আলম, ইউনিয়নের হিজোলীয়া তেলীপাড়া এলাকার ইসলাম ড্রাইভারের ছেলে নুরুল হাকিম প্রকাশ ইয়াবা হাকিম, রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে আতাউল্লাহ প্রকাশ ইয়াবা আতাউল, হাজির পাড়া এলাকার বদিউর রহমান সিকদারের ছেলে মীর আহম্মদ । জানা গেছে, উখিয়া টেকনাফ উপজেলার অন্ততপক্ষে ৩০ টি ইয়াবা সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে মরণঘাতী এ বানিজ্য। প্রায় প্রতিদিনই আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটছে। এসব আটকের ঘটনা ঘটলেও প্রসাশনের ছোঁখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই নিদ্দিষ্ট গন্তব্য ইয়াবা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা আটকের সময় মাঝে মধ্যে পাচারকারী আটক হলেও এর সাথে জড়িত রাঘববোয়াল বা গড়ফাদাররা আটক না হওয়ায় ইয়াবা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।

উখিয়া টেকনাফ সীমান্তের মাদক ব্যবসার সাথে সংশিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার দরগাবিল,ডিগিলিয়া উলুবনিয়া, ধামনখালী, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া সাম্পানঘাট, টেকনাফ বন্দর, শাহপরীরদ্বীপ, জালিয়াপাড়া, নাইটংপাড়া সাগর পথ ও স্থল পথ দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ পিচ ইয়াবার চালান অনায়াসে পাচার হয়ে এসে উখিয়া টেকনাফের নিদ্দিষ্ট কয়েকটি গুদামে জমা হয়। পরে সুযোগ বুঝে রোহিঙ্গা যুবক যুবতীসহ সিন্ডিকেটের সদস্যরা এসব ইয়াবা সড়ক পথে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের হাতে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও পর্যটকবেশী কতিপয় পাচারকারী বিলাস বহুল গাড়ীতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আইন প্রযোগকারী সংস্থার লোকজন অনেক ক্ষেত্রে পর্যটক মনে করে এসব গাড়ীগুলো তল্লাসীর বাইরে রাখে। সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বিজিবির কথিপয় দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে মাসিক চুক্তিতে ম্যানেজের মাধ্যমে তাদের এ ব্যবসা ওপেন সিক্রেটের মত চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সিন্ডিকেটের মধ্যে উপজেলার থাইংখালী তাজনিমারখোলা নামক এলাকার নির্বাচিত জয়নাল মেম্বার প্রকাশ ইয়াবা জয়নাল, ইয়াবা আমিন, ইয়াবা লাদেন, হরিনমারার ফরিদ সিন্ডিকেট, জাদিমুরার হেলাল সিন্ডিকেট, ঘিলাতলীর মুবিন সিন্ডিকেট, বালুখালী পানবাজারের বকতার মেম্বার প্রকাশ ইয়াবা বকতার সিন্ডিকেট, ও উখিয়ার খোকা সিন্ডিকেট অন্যতম। উল্লেখিত প্রতিটি সিন্ডিকেটে ৫০ জনের মত যুবক,যুবতী রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে ইয়াবা বানিজ্যর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরে ইয়াবা সহ মানব পাচার করে উখিয়ার অনেকেই এখন কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। উক্ত কালো টাকার মাধ্যমে অনেকেই আবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের অবৈধ টাকার কাছে সৎ, যোগ্য প্রার্থীরা হারিয়ে গেছে। মাদক ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে শীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে এসে পবিত্র ইউনিয়ন পরিষদকে ইয়াবা ও মাদকমুক্ত রাখার দাবী জানান এলাকাবাসীরা।

সূত্রে জানা গেছে, ৯০ দশকে নেশার জগতে প্রবেশ করে ইয়াবা। শুরুতে দুবাই, পাকিস্তান থেকে ল্যাগেজ পার্টির মাধ্যমে এসব ইয়াবা এদেশে প্রবেশ করলেও তা ছিল ব্যয় বহুল ও সীমিত আকারে। এ সময় এক একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হওয়ার সুবাদে ইয়াবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল নগন্য। ২০০৫ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে এসব ইয়াবা তৈরি শুরু হয়। মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নেশা জাতীয় উপকরণ ও কাচাঁমাল দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে ইয়াবা তৈরি করে এদেশে পাচার করতে থাকে। মিয়ানমারের তৈরি এক একটি ইয়াবা ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এসব ইয়াবা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফে আসার পর ঘুষ লেনদেন সহ প্রতিটির মূল্য দাড়াঁয় ১০০/১২০ টাকা । পরে এসব ইয়াবা কক্সবাজার চট্টগ্রামে ৩ থেকে ৫ শত টাকায় অনায়াসে বিক্রি হওয়ার সুবাধে ব্যাপক চাহিদা ও অল্প পুঁিজতে বেশী লাভবান হওয়ার আশায় ইয়াবা পাচারে ঝুকে পড়ে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত যুব সমাজ। বর্তমানে ইয়াবা পাচার ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পাড়ার কারণে রোহিঙ্গা যুবক যুবতী সহ উখিয়া- টেকনাফের সহস্্রাধিক স্মাট যুবক হোন্ডা, মাইত্রেুা ও বিলাস বহুল গাড়ী নিয়ে ইয়াবা পাচারে নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। তারা বিভিন্ন সময় রুট পরিবর্তনের মাধ্যমে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রসাশনের ছোঁখ ফাঁকি দিয়ে। উখিয়া- টেকনাফের উঠতি বয়সী যুবকরা ছাড়াও দেশের অভিজাত পরিবারের যুবক যুবতীরাও কম সময়ে কোটিপতি হওয়ার নেশায় ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া টেকনাফের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল মালেক মিয়া জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝে মধ্যে ইয়াবা পাচারকারীদের আটক করছে। সড়ক পথে সুনিদ্ধিষ্ট তথ্য ছাড়া ইয়াবা আটক করা কঠিন। তবুও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 ###########################

ইনানীতে ২লক্ষাধিক টাকার ঝিনুক আটক ঃ জড়িতরা অধরা

 মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া :::

 কক্সবাজারের উখিয়ার উপক’লীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানীর রূপপতি নামক এলাকা থেকে পাচারকালে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ব্রজগোপাল রাজ বংশীর নেতৃত্বে বন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ঝিনুক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় অভিযান টের পেয়ে ঝিনুক পাচারের সাথে জড়িত পরিবেশ ধ্বংসকারীদের অন্যতম গডফাদার ছেংছুড়ি এলাকার ভুলু ও আলতাফ হোসেন দ্রুত পালিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। বলে জানা গেছে। শনিবার ভোর ৪ টার দিকে উক্ত অবৈধ ঝিনুক গুলো উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, রূপপতি ছেংছুড়ি এলাকার চিহ্নিত ২ পরিবেশ ধ্বংসকারী রোহিঙ্গা বান্ধব ভুলু ও আলতাফ হোসেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বন বিভাগকে বৃদ্ধঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাগর ঘেষা মেরিনড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে বসবাসকৃত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ঝিনুক কুড়াই করে, উক্ত ঝিনুক গুলো ট্রাক যোগে দেশের বিভন্ন স্থানে পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের এ অবৈধ অর্থের একটি অংশ বিএনপি জামাতের কথিত দালালদের পকেটে যায় বলে জানা গেছে। উক্ত অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমান, ইনানী বিট কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রমূখ। উল্লেখ্য তাদের এ পাচার কাজে কেই প্রতিবাদ বা বাধা প্রধান করিলে তা হলে তাদের উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন ও অত্যচার। তাই এলাকার কেউ তাদের অত্যাচারের ভয়ে মূখ খুলতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি ঝিনুক আটকের সত্যতা স্বীকার করেন এবং বন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

################

ভুমিহীনদের টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পলায়ন

ইনানীতে ভুমিহীনদের টাকা লুট পাটের ঘটনায় এলাকায় রক্তক্ষয় সংঘর্ষের আশংখ্যা

মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::

 উখিয়ার ইনানীতে ভুমিহীন পরিবারের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রক্তক্ষয় সংঘর্ষের আশংখ্যা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভুমিহীন পরিবার গুলোকে চিহ্নিত করে তাদেরকে পূর্ণবাসন করার লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আশ্রয়নÑ ২ তেজগাঁও থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি পরিপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন ৫ ইউনিয়নে ৩ জন বিশিষ্ট এক একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তারই সূত্র ধরে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শামশুল আলম ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ালীগের সাধারন সম্পাদক ইনানী চারা বটতলী এলাকার ফারুক মৌলভীর ছেলে শাহ জাহান স্থানীয় জামায়াত বিএনপির সাথে আতাঁত করে দেশরতœ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে ব্যহ্নত ও জনশূণ্য করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক ভুমিহীন পরিবারের নিকট থেকে ফরম পূরনের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাক। হাতিয়ে নেওয়া ওই টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক শামশুল আলম বর্তমানে চট্রগ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত শামশুল আলম টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ জানান। শাহ জাহানের কাছ থেকে জানতে চাইলে সেও টাকা নেওয়ার সত্যতা সা¦ীকার করে বলেন, আমি ভুমিহীনদের কাছ থেকে যা নিয়েছি তা প্রধান শিক্ষক শামশুল আলমকে দিয়েছি। ওই টাকা নিয়ে সে বর্তমানে চট্রগ্রাম অবস্থান করছে। একাধিক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষক ও শাহ জাহানকে সুধী করে ও ঘরের বিভিন্ন জিনিস পত্র বিক্রি করে একটি বাড়ী পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের টাকা গুলো নিয়ে প্রধান শিক্ষক পালায় গেছে। আমাদের টাকা উদ্ধার ও তাদের শাস্তির দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিটির আহব্বায়ক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সৌকত হোসেন ফরম পূরনের নামে টাকা লুট পাটের বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

 ###################

ঘুমধুম পুলিশ ফাড়িঁর নবাগত পুলিশ কর্মকর্তা এরশাদুল্লাহকে বরণ করে নিলেন কৃষকলীগ নেতৃবিন্ধুরা

মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া :::

উখিয়ার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের নবাগত আইসি এরশাদুল্লাহকে ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক হেমালাল বড়–য়ার নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মীরা সোমবার সন্ধা ৬ টার দিকে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের সামনে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় ফাঁড়ির আইসি মোঃ এরশাদুল্লাহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য অনৈতিক কর্মকান্ড, মাদক ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে না জড়িয়ে সুন্দর সমাজ গঠন কল্পে সবাইকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানাসনোর পাশা পাশি সকল নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতাকামনা করেছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষকলীগের ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ ফারুখ মুন্না, ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আলম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মৌলভী আব্দুল গফুর, জাহেদ আলম, মোঃ শামশুল আলম, মোঃ ছৈয়দ নুর, প্রেমলাল বড়–য়া, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মোঃ এরশাদুল হক ও মোঃ শফিউল আলম প্রমূখ।

 

 

পাঠকের মতামত: