নিজস্ব প্রতিবেদক ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উখিয়া-টেকনাফের নির্বাচনী পরিবেশ হঠাৎ উত্ত্যপ্ত হয়ে উঠেছে। দিনদিন বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ আর শঙ্কা। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভয়ভীতি আর আতংক। যার ৩০ তারিখ ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাচ্ছে নবীণ-প্রবীণ ভোটারেরা। তবে এতে আওয়ামীলীগের চেয়ে প্রশাসনের লোকজন বেশি অতি উৎসাহিত বলে দাবী করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
উখিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও উখিয়া উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, ১৮ ডিসেম্বর পূর্বে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী উখিয়া সদর ষ্টেশনে বিএনপি’র তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরীর ধানের শীষ মার্কার সমর্থনে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর কোন কর্মসূচী ছিল উখিয়ায়। হঠাৎ আওয়ামীলীগ,যুবলীগের কিছু উশৃংখল যুবক এসে বিনা উস্কানীতে আমাদের পথসভায় বাধা দেয়। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পুর্বের নির্ধারিত পথসভা স্থগিত করিতে বাধ্য হই। কারণ আমরা চাইনা অন্যান্য স্থানের মত উখিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট হোক। তবে তিনি প্রশাসনের এক পক্ষীয় ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ প্রশাসন মাথা নিচ্ছে না, উল্টো উখিয়া-টেকনাফে প্রতিনিয়ত বিনা কারনে বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি’র থেকে বহিস্কৃত খাইরুল আলম চৌধুরীর কারণে আজকে উখিয়ার সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। এ মহুর্তে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। অন্যথায় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, তার রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী আরচণ বিধি লঙ্গন করে গত ১৭ ডিসেম্বর প্রশাসনের লোকদের সাথে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে কয়েকটি গায়েবী মামলা রুজু করেছে প্রশাসন। তাছাড়া উক্ত বৈঠকে আরো কি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, খাইরুল আলম চৌধুরী রতœাপালং ইউনিয়নের ৩২শ গবীর,দুস্থ মহিলাদের নিকট থেকে ভিজিডি আর ভিজিএফের চাল দেওয়া কথা বলে জাতীয় পরিচয় পত্র(আইডি কার্ড)জমা নিয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন বলে তিনি দাবী করেন।
অথচ এদিকে বড় দু’দলের মধ্যে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ৪ বারের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী রাতদিন উপেক্ষা করে ভোট ভিক্ষা করে চলছে। একই ভাবে মাঠে ঘাটে চষে বেড়াচ্ছেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী শাহিন আক্তার। নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয়পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী এম এ মনজুর ও হাতপাখা মার্কা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ শোয়াইব মাঠে রয়েছে।
উখিয়া-টেকনাফে ভোটারেরা দীর্ঘদিন পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাদের কাঙ্খিত ভোটটি প্রদানের জন্য অধির আগ্রহে রয়েছে। তৎমধ্যে কেউ পরির্তনের পক্ষে, আবার কেউ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা মুজিবুল হক আজাদ বলেন, সুষ্ঠু ও অংশ গ্রহনমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে উখিয়া-টেকনাফে এবারও নৌকা প্রার্থী বিপূল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পাঠকের মতামত: