উখিয়ার পালংখালীতে সরকারী বনভূমিতে অবৈধ স্থাপনা তৈরীর প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী বনদস্যুরা প্লট আকারে বনভূমি বিক্রি করলেও বন বিভাগের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের নাগের ডগায় অবৈধ ভাবে বহুতল ভবন তৈরী করার ঘটনা রীতিমত তোলপাড় দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন থাইংখালী বনবিটের অধিনে সংরক্ষিত বিশাল বনাঞ্চল সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু জবরদখল করে নিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্লট আকারে বিভিন্ন জনকে উক্ত বনভূমি বিক্রি করে। উক্ত সরকারী জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা তৈরী যেন সচেতন মহলে হতভাগ বনে গেছে। গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে পালংখালী ষ্টেশনের সামান্য উত্তর পার্শ্বে আরকার সড়কের লাগোয়া সরকারী বন বিভাগের জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসাবাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার রাষ্টন কুমার দেবনাথ নামক জৈনক ব্যক্তি ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে বন বিভাগের জায়গা জবরদখল করে বহুতল ভবন নিমার্ণ করে। স্থানীয় সচেতন জনগণ জানান, বন বিভাগকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে সরকারী জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা বা বহুতল ভবন নিমার্ণ করেছে তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ডাঃ রাষ্টন কুমার দেবনাথ বহুতল ভবনটি সরকারী বন বিভাগের উপর অবৈধ ভাবে নির্মাণের কথা সত্যতা স্বীকার করেন। বন বিভাগ উচ্ছেদ করলে তিনি চলে যাবেন। তবে এই নিয়ে পত্রিকায় ভালোভাবে রিপোর্ট করলেও তার কিছু যায়-আসে না। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বনভূমি জবরদখলকারী রাষ্টন কুমার দেবনাথ হচ্ছে ভুমিদস্যু চক্রের অন্যতম সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বে পালংখালী এলাকায় বহু বনভূমি জবরদখল করে একের পর এক দালান বা বহুতল ভবন তৈরী করলেও বন বিভাগ তার কাছে অসহায়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন সরকারী বনভূমি জবর দখল ও অবৈধ স্থাপনা তৈরী যত বড় ক্ষমতা ধর ব্যক্তি হোক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা গুটিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও রাষ্টন কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে বনভূমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে পালংখালীর বিশাল বনভূমিতে প্রায় ১ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সরকারী বনভূমি জবর দখল করে এসব স্থাপনা বা বসতবাড়ি তৈরী করেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বনভূমি বেদখলমুক্ত করার জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।
#############
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া ॥
উখিয়ার রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ডাঃ মোক্তার আহমদ প্যানেল চেয়ারম্যান ১, মোঃ সেলিম উদ্দিন প্যানেল চেয়ারম্যান ২ ও জন্নাতুন নাহার বিউটি প্যানেল চেয়ারম্যান ৩ নির্বাচিত হয়েছে।
রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সচিব মোঃ আবু সুফিয়ান পরিচালনায় গণতান্ত্রিক উপায়ে উৎসাহ উদ্দীপনা ও সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
############
উখিয়ায় সংঘর্ষে দুই ইয়াবা স¤্রাট আহত
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া ॥
উখিয়ায় ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আধিপত্য বিস্তার ও চোরা চালানের টাকার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দু”শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার গ্রুপের মধ্যে স্বসস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে। আহত ইয়াবা গডফাদার মাহমমুদুল হককে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জাহেদকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মামাতো ফুফাতো দু,ভাই মাহমুদুল হক ও জাহেদ দু গ্রুপে ভাগ করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে উখিয়া উপজেলার জাদিমুরা নামক এলাকায় পাচারকৃত বিশাল একটি ইয়াবা চালানের লাভের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মাহমুদুল হক গ্রুপের মাহমুদুল হকের সাথে ছিল নিদানিয়ার তাহের, খয়রাতির জসিম ও হেলাল, অন্যদিকে জাহেদ গ্রুপের জাহেদুল ইসলামের সাথে ছিল ইসলাম ও সালাম।এ সময় চুরিকাঘাতে মাহমুদুল হক, জাহেদ আহত হয় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
সুত্রে জানা গেছে, উখিয়া থানা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ইয়াবা বানিজ্য করে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাহমুদুল হক অল্প সময়ে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। নামে বেনামে গড়ে তুলেছে একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্টান,গাড়ী নিয়েছে ১০টির অধিক। সম্প্রতি ২টি নোহা নিয়েছে যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো ১৫-৫৪৫২ ও ঢাকা মেট্টো-১১-৩৪৪৮। এছাড়াও মাহমুদুল হক দক্ষিণ কক্সবাজার অর্থাৎ উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে হুন্ডি ব্যবসার গড ফাদার হিসেবে পরিচিত। উখিয়া সদর ষ্টেশনের মসজিদ মার্কেটে টেলিকম দোকানের আড়ালে এ মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বিতরণ করে আসছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাহমুদুল হকের পক্ষে একটি অপহরণের অভিযোগ পেয়েছি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: