ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়

উখিয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে তুলতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাহাড় কাটার ফলে দেখা দিয়েছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা। এতে জীববৈচিত্র ধ্বংসের পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রাণহানির আশংকাও করছেন স্থানীয়রা। এদিকে বনবিভাগ বলছে, পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে কাউকে অনুমতি দেয়নি তারা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এরইমধ্যে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। পালিয়ে আসা বাস্তুহারা এসব মানুষের ঠাঁই হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি ক্যাম্পে।

বন বিভাগের হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর জন্য সাড়ে ৫ হাজার একর বনভূমি ব্যবহার হওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে ১০ হাজার একরেরও বেশি বনভূমিতে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে। বসতি গড়তে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন বনভূমি দখল করে গাছ ও পাহাড় কাটছে তারা। উখিয়ার কুতুপালং, মধুুরছড়া, লম্বাশিয়া, পালংখালী, বালুখালী, তাজনিমার খোলাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে একশ’রও বেশি পাহাড় কেটে বসতি গড়ছে রোহিঙ্গারা।

বসতি গড়ার জন্য নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে দেখা দিয়েছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের শংকা। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি স্থানীয় প্রাকৃতিক ভারসাম্যে পরিবর্তনের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, রোহিঙ্গা বসতির জন্য অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করছে বন বিভাগও। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রয়োজন ছাড়াই পাহাড় কাটছে অনেকে।

অনুমোদনহীনভাবে পাহাড় কাটার ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রাণহানির শঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা।

পাঠকের মতামত: